কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলিউড। তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও প্রবীণ অভিনেত্রী মুমতাজ সম্প্রতি মুম্বই সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি ভাগ করে নিয়েছেন প্রয়াত বন্ধুকে শেষবার দেখা না করার এক হৃদয়বিদারক স্মৃতি, যা তাঁর মনে গভীর যন্ত্রণার সৃষ্টি করেছে।

 

 

বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মুমতাজ জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্র যখন অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখন তিনি তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি সেই সময়ের কথা মনে করে বলেন, "আমি তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, কিন্তু কর্মীরা আমাকে জানালেন তিনি লাইফ সাপোর্ট বা ভেন্টিলেটরে আছেন এবং সেই কারণে কারওরই প্রবেশাধিকার নেই।"

 

 

অভিনেত্রীর কথায়, দেখা না করার অনুমতি না পেয়েও তিনি প্রিয় সহকর্মীকে একবার দূর থেকে দেখার আশায় প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। মুমতাজের কাছে এই স্মৃতি অত্যন্ত বেদনাদায়ক, কারণ এটিই ছিল তাঁর বন্ধুর সঙ্গে শেষ দেখা হওয়ার সুযোগ, যা তিনি হাতছাড়া করেন। 

 

 

তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমি সেখানে ৩০ মিনিট বসে ছিলাম, এই আশায় যে হয়তো একবার দেখতে পাব... কিন্তু পারলাম না। দেখা না করেই চলে এলাম।" ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর শেষবার দেখা হয়েছিল তাঁর বাড়িতে, ২০২১ সালে। অভিনেত্রী জানান, সেই সাক্ষাৎ ছিল অত্যন্ত আনন্দদায়ক এবং একটি উষ্ণ স্মৃতি। তবে হাসপাতাল থেকে দেখা না করে ফিরে আসা তাঁর জীবনে একটি গভীর আক্ষেপ হয়ে থেকে গেল।

 

 

প্রয়াত অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মুমতাজ ধর্মেন্দ্রের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ধর্মেন্দ্র ছিলেন একজন 'অসাধারণ সহ-অভিনেতা' এবং 'খাঁটি সোনার মতো হৃদয়ের একজন মানুষ'। তাঁর মতে, ধর্মেন্দ্র ছিলেন অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং এমন একজন কিংবদন্তী, যাঁকে প্রতিস্থাপন করা অসম্ভব।

 


তিনি ধর্মেন্দ্রের পরিবার, বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী হেমা মালিনীর প্রতিও গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মুমতাজ মনে করেন, হেমা মালিনী সর্বদা ধর্মেন্দ্রের প্রতি গভীর ভাবে নিবেদিত ছিলেন এবং এই বিশাল ক্ষতির বেদনা তিনি সবচেয়ে গভীরভাবে অনুভব করছেন। মুমতাজের কথায়, "আমি তাঁর পরিবারের জন্য দুঃখিত, এবং হেমাজি’র জন্যেও। তিনি সবসময়ই ধর্মেন্দ্রের প্রতি নিবেদিত ছিলেন। তিনি নিশ্চয়ই এই ক্ষতি খুব গভীরভাবে অনুভব করছেন। তিনি ওঁকে সত্যিকারের ভালবাসতেন।"