আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবার আইপিএল ট্রফি জিতে ইতিহাস গড়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু সেই জয় উদ্যাপনেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রফি জয়ের আনন্দে যখন গোটা শহর উল্লসিত, তখন সেই উৎসবই পরিণত হল কালরাত্রিতে। প্রচণ্ড ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন, আহত প্রায় ৫০ জন। বেঙ্গালুরুতে বিজয় মিছিল এবং উদ্যাপন চলাকালীন ভিড়ের চাপে এবং বিশৃঙ্খলার কারণে এই বিপর্যয় ঘটে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখন কড়া অবস্থান নিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
ক্রিকবাজ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া বলেন, ‘কোনও এক সময়ে বোর্ডকে হস্তক্ষেপ করতেই হবে। আমরা নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারি না। এটা হয়তো আরসিবির ব্যক্তিগত উদ্যাপন ছিল, কিন্তু ভারতের ক্রিকেটের দায়িত্ব আমাদের হাতে। তাই ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে’। তিনি আরও জানান, বিসিসিআই এবার আইপিএল জয় উদ্যাপন নিয়ে আলাদা গাইডলাইন বা নিয়ম আনতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে এমন দুঃখজনক ঘটনা আর না ঘটে।
আরসিবির এই ঐতিহাসিক জয় যেমন সমর্থকদের আনন্দ দিয়েছে, তেমনই সেই উদ্যাপনেই হারাতে হয়েছে একাধিক প্রাণ। পুরো ঘটনা ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে সমগ্র ক্রিকেট মহলে। উল্লেখ্য, চিন্নাস্বামীর বাইরে পদপিষ্টের ঘটনায় বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বেঙ্গালুরু পুলিশ স্পষ্ট করে এদিন জানিয়েছে, অভিযোগ জমা পড়লেও এই মুহূর্তে নতুন করে কোনও এফআইআর দায়ের করা হবে না। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘এই অভিযোগটি ইতিমধ্যে নথিভুক্ত মামলার আওতায় চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে খতিয়ে দেখা হবে’। তিনি আরও জানান, বিষয়টি এখনও বিস্তারিত পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্টের ঘটনায় চলে গিয়েছে ১১টি তাজা প্রাণ। সেই ঘটনায় বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার জন্য কোহলিকে দায়ী করে স্থানীয় সমাজকর্মী এএম বেঙ্কটেশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কর্নাটকের শিবমোগা জেলার সমাজকর্মী বেঙ্কটেশ অভিযোগ দায়ের করেছেন বেঙ্গালুরুর কাবন পার্ক থানায়। তিনি জানিয়েছেন, কোহলির জন্যই স্টেডিয়ামের বাইরে অত সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। পদপিষ্ট হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেও কেন উৎসব চালিয়ে যাওয়া হল, তা–ও জানতে চেয়েছেন তিনি। কাবন পার্ক থানার তরফে জানানো হয়, বেঙ্কটেশের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
