আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগের ম্যাচে একটুর জন্য রক্ষা পেয়েছিল রোহিত শর্মার বিশ্বরেকর্ড। প্রায় দু’মাস পর মাঠে নেমেই নজির গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার টিম ডেভিড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিকও তিনি। ডেভিডের ব্যাটে ভর করে ম্যাচ ও সিরিজ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
সিরিজ জয় হয়ে গিয়েছে আগেই। তাই চতুর্থ টি-টোয়েন্টির গুরুত্ব ছিল না। সেই ম্যাচেও অজিদের কাছে হারতে হল ক্যারিবিয়ানদের। সেই সঙ্গে আরও এক বিড়ম্বনার রেকর্ড ছুঁল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুশোর বেশি রান করেও টি-টোয়েন্টিতে হার মানতে হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট সব দিক থেকেই পিছু হটছে।

আরও পড়ুন: এই ভারতের অধিনায়ক কে? গিল নাকি গম্ভীর? গাভাসকর দিলেন বড় ইঙ্গিত
চতুর্থ টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেন্ট কিটসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২০৬ রানের টার্গেট ৪ বল বাকি থাকতে অতিক্রম করে মিচেল মার্শের দল।এবার নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সপ্তমবার ২০০ বা এর বেশি রান তুলেও হার মানল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমন অস্বস্তিকর রেকর্ড কোনও দলের নেই।
আগের ম্যাচে ডেভিড ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছিলেন। এদিনের ম্যাচে তেমন কিছু ঘটেনি। জশ ইংলিশ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যামেরন গ্রিনরা বিধ্বংসী ব্যাটিং করায় ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।
যদিও ইনিংসের শুরুটা ভাল করেনি অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক মার্শ খাতা না খুলেই ফিরে যান। পাওয়ার প্লেতে এরপর ঝড় তোলেন ইংলিশ ও ম্যাক্সওয়েল। ৩০ বলে ৫১ রান করেন ইংলিশ। সেই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার রান ৬.১ ওভারে ৬৬।
পাওয়ার প্লের পরের চার ওভারে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১৮ বলে ৪৭ রান করেন ম্যাড ম্যাক্স। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ৬টি ছক্কা ও একটি চার। এরপরে গ্রিন ৩০ বলে পঞ্চাশ করেন। অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

কথায় বলে, ক্যাচেস উইন ম্যাচেস। তিনটি ক্যাচ ছাড়েন ক্যারিবিয়ানরা। বেশ কয়েকবার বল গলান তাঁরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেল ৪-০-এ। টস হেরে ব্যাটিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল ২০৫ রান। ক্যারিবিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন শেরফান রাদারফোর্ড (৩১)। ব্যক্তিগত ৩২ রান অতিক্রম করেননি এমন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০৫ রানই সব থেকে বেশি। এই রানের পুঁজি নিয়ে খেলতে নেমেও শেষমেশ ক্যারিবিয়ানদের হার মানতে হল।
এই সিরিজেরই প্রথম দুটি ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান আন্দ্রে রাসেল। কিছুদিন আগে নিকোলাস পুরানও জানিয়ে দিয়েছেন দেশের হয়ে আর তিনি খেলবেন না। দুই ক্রিকেটারই এখন শুধু ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে যাবেন।

দেশের হয়ে খেলার আগ্রহ ক্রমশ কমছে ক্রিকেটারদের। এই পরিস্থিতির জন্য ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডকেই দায়ী করেছেন ব্রায়ান লারা। যদিও ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ড আবার দেশের ক্রিকেটের হাল ফেরাতে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সাহায্য চেয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সুদিন কি আর ফিরবে?
