আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ইংল্যান্ড সিরিজের দলে ছিলেন। কিন্তু একটি টেস্টেও সুযোগ পাননি। এটা ঘটনা, বাঁহাতি জোরে বোলারকে একটা ম্যাচেও খেলাননি কোচ গৌতম গম্ভীর। চতুর্থ টেস্টে অর্শদীপের খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। অনুশীলনে চোট পাওয়ায় সেই ম্যাচেও খেলা হয়নি তাঁর। অর্শদীপ ইংল্যান্ডে খেলার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ পাঞ্জাবের বোলিং কোচ গগনদীপ সিং। এশিয়া কাপের আগে তাঁর অভিযোগ, অর্শদীপের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।


বুচি বাবু ট্রফির জন্য পাঞ্জাব দলের সঙ্গে গগনদীপ রয়েছেন চেন্নাইয়ে। সেখানে এক সাক্ষাৎকারে অর্শদীপের সুযোগ না পাওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। গগনদীপ বলেছেন, ‘অর্শদীপ ইংল্যান্ডে থাকার সময় ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। সুযোগ না পাওয়ায় অধৈর্য হয়ে পড়েছিল। অস্থির মনে হচ্ছিল। আমি বলেছিলাম, তোকে তোর সময় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমার মতে, অর্শদীপকে ইংল্যান্ডে খেলানো যেতে পারত। কারণ ও সুইং বোলার। উচ্চতাও ভাল। সব কিছুই ভাল। এখান থেকে আমার পক্ষে প্রথম একাদশ বা দলের ভারসাম্য নিয়ে পরিকল্পনা জানা সম্ভব নয়। কোচ গৌতম গম্ভীর আর অধিনায়ক শুভমান গিল হয়তো ওর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘২০২২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে অর্শদীপের। এখনও পর্যন্ত শুধু সাদা বলের ক্রিকেটই খেলেছে। এত দিনেও ও টেস্ট খেলতে পারল না।’ অর্শদীপকে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বলে মনে করেন গগনদীপ।


বোলিং নিয়ে কোনও সমস্যা হলে গগনদীপের পরামর্শ নেন অর্শদীপ। প্রায় নিয়মিত যোগাযোগ থাকে দু’জনের। যদিও কয়েক মাস অর্শদীপের খেলা বা অনুশীলন দেখেননি গগনদীপ। পাঞ্জাবের বোলিং কোচ বলেছেন, ‘কয়েক মাস ওকে দেখার সুযোগ হয়নি। আশা করি, দেখা হলে বুঝতে পারব বোলার হিসাবে কোন জায়গায় রয়েছে। শেষ কয়েকটা ম্যাচের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বলতে পারি, লাইন এবং লেংথ নিয়ে আরও পরিশ্রম করতে হবে। ইয়র্কার এবং বাউন্সার নিয়েও খাটতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই দুটো বল বেশ কার্যকর।’ গগনদীপের আশা, টেস্ট খেলার জন্য আর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না অর্শদীপকে।


এটা ঘটনা, দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৬৩টা টি–টোয়েন্টি ম্যাচ এবং ন’টা এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন ২৬ বছরের অর্শদীপ। গত বছর ভারতের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল পাঞ্জাবের জোরে বোলারের। আগামী এশিয়া কাপেও ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা এই অর্শদীপ সিং। 

এদিকে, নেতৃত্বই ছেড়ে দিলেন শ্রেয়স আইয়ার। দলীপ ট্রফিতে পশ্চিমাঞ্চলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি নেতৃত্ব করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলায় জাতীয় নির্বাচকরা শার্দূল ঠাকুরের হাতে ক্যাপ্টেন্সির আর্মব্যান্ড তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।


নেতৃত্ব না দিলেও শ্রেয়স আইয়ার কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে দলীপ ট্রফিতে খেলবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শ্রেয়স আইয়ার একপ্রকার ধরেই নিয়েছিলেন এশিয়া কাপের দলে তাঁকে নেওয়া হবে। সাদা বলে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কোচ প্রবীণ আমরের সঙ্গে। কিন্তু এশিয়া কাপের জন্য যে ভারতীয় দল ঘোষণা করা হয়েছে, সেই দলে রাখা হয়নি শ্রেয়সকে।