আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্রঙ্কো টেস্ট নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন এবি ডি'ভিলিয়ার্স। এই টেস্টকে সবচেয়ে কঠিন ফিটনেস টেস্টের অ্যাখ্যা দেন তিনি। নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে এই টেস্ট নিয়ে খুঁটিনাটি জানান। এর মাধ্যমে অ্যারোবিক এন্ডুয়ারেন্সের পাশাপাশি রিকভারির ক্ষমতাও পরীক্ষা করা হয়। ডি'ভিলিয়ার্স বলেন, 'দল যখন আমাকে প্রথম জানায়, আমি এই টেস্ট সম্বন্ধে কিছুই জানতাম না। আমি বলি, ব্রঙ্কো টেস্ট আবার কি? ওরা আমাকে বোঝানোর পর, আমি বুঝতে পারি। ১৬ বছর বয়স থেকে আমি এটা করে আসছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা এটাকে স্প্রিন্ট রিপিট অ্যাবিলিটি টেস্ট বলি।'
এই টেস্ট কতটা কঠিন, সেটা জানান। অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে এই টেস্ট করতে জিভ বেরিয়ে যেত তাঁর। ফুরিয়ে যেত দমও। তাই এই টেস্টে খুব একটা সায় নেই প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকার। ডি'ভিলিয়ার্স বলেন, 'এর থেকে জঘন্য কিছু হতে পারে না। ইউনিভার্সিটি অফ প্রিটোরিয়ার দিনগুলোর কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। সুপার স্পোর্ট পার্কের কথাও। দক্ষিণ আফ্রিকায় শীতের কনকনে সকালগুলোয় হাওয়ায় খুব বেশি অক্সিজেনের পরিমাণ থাকে না। সমতল থেকে উচ্চতা প্রায় ১৫০০ ফুট। তাই অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে। ফুসফুসে খুব কষ্ট হয়।'
আরও পড়ুন: ২৬ পেনাল্টি! চতুর্থ ডিভিশনের দলের কাছে হার, ৭৭ বছরের ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ড ম্যান ইউয়ের...
সম্প্রতি ইয়ো ইয়ো টেস্টের পাশাপাশি টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষার ক্ষেত্রে ব্রঙ্কো টেস্টও যোগ করেছেন স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ আদ্রিয়ান লে রু। যা অনেকেই সমর্থন করেনি। ট্রেনিং প্রক্রিয়ায় আচমকা বদল নিয়ে সতর্কবার্তা দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি বলেন, 'ট্রেনার বদলালে, টেনিং পদ্ধতিও বদলায়। প্লেয়ারদের সমস্যায় পড়তে হয়। এর ফলে চোট-আঘাতের সমস্যা বাড়ে।' ফিটনেস টেস্টের প্রক্রিয়া না বদলানোর ডাক দেন প্রাক্তন তারকা স্পিনার। কি এই ব্রঙ্কো টেস্ট?
ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস ধরে রাখতে এবার নতুন পরীক্ষা চালু করতে চলেছে বিসিসিআই। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বর্তমান ফিটনেস পরীক্ষার পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটে এবার যুক্ত হতে চলেছে রাগবি-ভিত্তিক ‘ব্রঙ্কো টেস্ট’। এই টেস্টে একাধিক শাটল রান করতে হয় - প্রথমে ২০ মিটার, তারপর ৪০ মিটার এবং শেষে ৬০ মিটার। মোট পাঁচ সেটে এই দৌড় সম্পূর্ণ করতে হয় খেলোয়াড়দের, তাও কোনও বিরতি ছাড়া। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ মিনিট। ভারতীয় দলের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ আড্রিয়ান লে রু এই পরীক্ষা চালুর প্রস্তাব দেন। তাঁর মতে, বিশেষ করে দ্রুতগতির বোলারদের আরও বেশি দৌড় করানো জরুরি। কারণ ফিটনেস সমস্যার জেরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দল ভুগেছে। শোনা যাচ্ছে, রোহিত শর্মাকে ২০২৭ বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্যই এই টেস্ট চালু করা হচ্ছে।
