আজকাল ওয়েবডেস্ক: ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ড। ক্লাবের ইতিহাসে কলঙ্কের রাত। চতুর্থ ডিভিশনের দল গ্রিমসবাই টাউনের কাছে হেরে লিগ কাপ থেকে ছিটকে গেল রুবেন অ্যামোরিমের দল। ম্যারাথন পেনাল্টি। মোট ২৬টি স্পট কিক নেওয়া হয়। ব্লান্ডেল পার্কে পেনাল্টিতে ১২-১১ গোলে জিতে টুর্নামেন্ট থেকে ম্যান ইউকে ছিটকে দেয় লিগ টুয়ের আন্ডারডগরা। ব্রায়ান বিউমোর শট ক্রসবারে লাগায় মন ভেঙে যায় ৯০০০ রেড ডেভিলসের সমর্থকদের। নির্ধারিত সময় ম্যাচ ২-২ গোলে শেষ হয়। অ্যামোরিমের কোচিংয়ে আরও একটি কালো রাত। ম্যাচ শেষে পর্তুগিজ কোচ মেনে নেন, তাঁর প্লেয়াররা খেলা থেকে হারিয়ে গিয়েছিল।
প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা জয় দিয়ে না হওয়ায় চাপে ছিলেন অ্যামোরিম। এদিনের হার তাঁর ওপর চাপ বাড়াল। ম্যান ইউ কোচ মেনে নেন, তাঁর দল খেলতে পারেনি। অ্যামোরিম বলেন, 'আমার মনে হয়, সেরা দল জিতেছে। একমাত্র দল যারা মাঠে ছিল। আমরা ম্যাচের শুরুটা খুবই খারাপ করি। আমরা পুরোপুরি হারিয়ে যাই। তার সুযোগ ওরা নেয়।' ম্যাচের শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল ম্যান ইউ। বিরতির আগেই দু'গোলে পিছিয়ে পড়ে ঐতিহ্যশালী ক্লাব। ২২ মিনিটে চার্লস ভার্নামের গোলে এগিয়ে যায় গ্রিমসবাই। তারপর জঘন্য গোলকিপিংয়ের ফায়দা নিয়ে ব্যবধান বাড়ান টাইরেল ওয়ারেন। বিউমোর গোলে ব্যবধান কমায় ইউনাইটেড। ৮৯ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়েরের হেডার ম্যাচকে এক্সট্রা টাইমে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড সিরিজে ডাহা ফেল, টেস্টে করুণ নায়ারের পরিবর্ত পেয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেট, কে তিনি জানেন?...
স্টপেজ টাইমে খেলা শেষ করে দেওয়ার সুযোগ পান বেঞ্জামিন সেস্কো। কিন্তু সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়। প্রথম চারটে কিকে কোনও মিস ছিল না দুই দলের। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন ম্যাথিউস কুনহা। এমনকী দুই দলের গোলকিপারও গোল করে। কিন্তু ২৬তম শটে ক্রসপিসে মারেন বিউমো। গ্রিমসবাইয়ের রূপকথার জয়ের সাক্ষী থাকে গোটা স্টেডিয়াম। গত বছরটা জঘন্য গিয়েছে ম্যান ইউয়ের। প্রিমিয়ার লিগে ১৫তম স্থানে শেষ করে। অন্যদিকে স্মরণীয় রাত গ্রিমসবাইয়ের। ১৯৪৮ সালের পর এটাই ছিল ম্যান ইউয়ের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ। চতুর্থ ডিভিশনের ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং বড় জয়।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ১৭ বছরের ট্রফি খরা কাটে টটেনহাম হটসপারের। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে উয়েফা ইউরোপা লিগ ঘরে তোলে তাঁরা। খেলার একমাত্র গোল করেন ওয়েলস ফরোয়ার্ড ব্রেনান জনসন। ৪২ মিনিটের একমাত্র গোলই ম্যাচে ফাড়াক গড়ে দেয়। ফাইনালে হারের ফলে গত কয়েক মরশুমের মতো এই মরশুমেও ট্রফিহীন থাকে রেড ডেভিলসরা। স্পার্স ম্যানেজার অ্যাঞ্জে পোস্টেকোগ্লোর এটি প্রথম কোনও ইউরোপীয় ট্রফি জয়। এই জয়ের ফলে আগামী মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে টটেনহাম। ২০০৮ সালে শেষবার কোনও ট্রফি জিতেছিল টটেনহাম। তারপর ফের তাঁদের ঘরে ট্রফি ঢুকল ২০২৫ সালে। আর ম্যান ইউ? ইপিএলে তাঁদের স্থান এবার ১৫ নম্বরে। টটেনহামের কাছে হেরে আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার সুযোগ হাতছাড়া করে ম্যান ইউ।
