আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘ ২৯ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে বুধবার শুরু হতে চলেছে বহু আলোচিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানে আইসিসির মার্কি টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রধান বাধা ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যা নিয়ে চিন্তিত ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত দেশ। নিরাপত্তাজনিত কারণেই পাকিস্তানে খেলতে যায়নি ভারতীয় দল। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে ঘটা ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিক কোনও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পায় না পাকিস্তান। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আশ্বস্ত করেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচ চলাকালীন ১২০০০ জন পুলিশ অফিসার এবং পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে। তারমধ্যে থাকবে ১৮ জন সিনিয়র অফিসার, ৫৪ জন ডিএসপি, ১৩৫ জন ইন্সপেক্টর, ১২০০ জন সাব ইন্সপেক্টর এবং ১০৫৫৬ জন কনস্টেবল। এছাড়াও ২০০ জনের বেশি মহিলা পুলিশ কর্মী থাকবে। 

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াও দলগুলো এবং ফ্যানদের সুবিধার্থে বিশেষ চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা থাকছে। গোটা টুর্নামেন্ট ধরে ক্রিকেটারদের এবং হাই প্রোফাইল গেস্টদের যাতায়াতের জন্য চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা থাকছে। এই বিমানগুলো করাচি, ইসলামাবাদ এবং লাহোরের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জ্বরে কাবু পাকিস্তান। তবে ভারতীয় দল খেলতে না আসার হতাশা রয়েছে। তবে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা পাকিস্তানে না থেকেও আছেন। করাচির জনবহুল সদর এলাকার জাইনাব মার্কেটে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের জার্সি। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিকোচ্ছে কোহলির জার্সি। জাইনাব মার্কেটের দোকানদার মইজ আহমেদ বলেন, 'ভারতীয় দলের পাকিস্তানে খেলতে না আশা হতাশাজনক। এখানে সবাই ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভালবাসে, পছন্দ করে। বিশেষ করে বিরাট কোহলিকে। পাকিস্তানে ওর প্রচুর ফ্যান রয়েছে।' চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কেন্দ্র করে জমজমাট পাকিস্তানের মার্কেট এলাকা। এবার শুধু টুর্নামেন্ট শুরুর অপেক্ষা।