আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজ ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। স্লোগান, সেমিনার, সচেতনতা— এই সবই জরুরি, কিন্তু তার চেয়েও জরুরি, আমরা ব্যক্তিগত জীবনে কতটা দায়িত্ব নিয়ে পরিবেশের প্রতি মনোযোগী হচ্ছি। যে কোনও কাজ শুরু হয় ছোট ছোট সিদ্ধান্ত থেকেই। তাই রোজকার জীবনেই কিছু সহজ ও ছোট কাজ নিয়মিত করলে পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
১. জল বাঁচান, ভবিষ্যৎ বাঁচান
বাড়িতে দাঁত মাজা বা মুখ ধোয়ার সময় ট্যাপ খোলা রাখা খুব বাজে অভ্যাস। ভাবুন, দিনে যদি শুধু এই ধরনের ছোট ছোট কাজেই ১০ লিটার জল অপচয় হয়, মাসে সেটাই ৩০০ লিটার! বেসিনে বা রান্নাঘরে কাজের ফাঁকে জলের ট্যাপ বন্ধ রাখা, জমা জল দিয়ে গাছের জলসেচ, এমনকি বর্ষার দিনে ছাদ থেকে নামা জল সংগ্রহ করে ব্যবহার—এই ছোট ছোট কাজ জল সংকট রুখতে সাহায্য করতে পারে।
২. প্লাস্টিক বর্জন
প্লাস্টিক ব্যাগে বাজার আনা অনেকেরই নিত্যদিনের অভ্যেস। অথচ জানেন কি একটি প্লাস্টিক ব্যাগ গলতে সময় লাগে প্রায় ৪০০ বছর! তার চেয়েও বড় কথা, এই ব্যাগ গিয়ে পড়ে নদী, সমুদ্রে। অনেক সময় রাস্তার কুকুর কিংবা গরুর মতো অবলা প্রাণীদের গলায় ঢুকে যায়। কাপড়ের থলে বা চটের ব্যাগ একবার কিনে নিলেই বহুদিন ব্যবহার করা যায়, পরিবেশও বাঁচে, প্রাণীর জীবনও বাঁচে।
৩. বিদ্যুৎ বাঁচান
ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও পাখা বা বাতি জ্বালিয়ে রাখা, বা অপ্রয়োজনেও মোবাইল চার্জে বসিয়ে রাখা, এসব ছোট ছোট জিনিসই বিদ্যুৎ অপচয়ের বড় কারণ। ফ্যান-লাইট বন্ধ করার অভ্যাস, এলইডি বাল্ব ব্যবহার, দিনের আলোয় কাজ করার চেষ্টা, এগুলি একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব, তেমনই বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় করে।
৪. গাছ লাগান
গাছ লাগানো মানেই শুধু একটি চারাগাছ বসিয়ে ফটো তোলা নয়। তার নিয়মিত যত্ন, জল দেওয়া, বৃদ্ধিতে সাহায্য করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বারান্দা, ছাদ বা জানালার ধারে তুলসী, স্নেক প্ল্যান্ট, মানি প্ল্যান্ট, এমন ছোট ছোট গাছ রাখলে যেমন বায়ু বিশুদ্ধ হয়, তেমনই মনও শান্ত থাকে।
৫. ডিজিটাল হন
ই-মেল, ডিজিটাল পেমেন্ট—এই কাজগুলি এখন কেবল আধুনিকতার প্রতীক নয়, কাগজ বাঁচানোরও হাতিয়ার। শুনলে অবাক লাগবে, কিন্তু জানেন কি এক টন কাগজ তৈরি করতে প্রায় ১৭টি পূর্ণবয়স্ক গাছ কাটতে হয়। তাই অপ্রয়োজনীয় কাগজ ব্যবহার না করা বা কাগজের পুনর্ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে আমরা গাছ কাটার হার কমাতে পারি।