আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুখের দুর্গন্ধের মতো বড় বিড়ম্বনা না খুব কমই আছে। হয়তো আপনার সম্পর্কে কেউ ভুলভাল খবর রটাচ্ছেন কিন্তু মিথ্যা কথা শুনেও মুখ খুলতে পারছেন না সঙ্কোচে, কিংবা প্রিয়জনের কাছে গিয়ে বসলেই মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন তিনি- এমন সম্মানহানির সম্মুখীন হতে হয় মুখের দুর্গন্ধের কারণে। অথচ অনেকেই নিয়ম করে দু’বেলা দাঁত মাজেন, তাও দূর হয় না মুখের দুর্গন্ধ। কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে আপনার জিভে।
দন্ত চিকিৎসকেরা বারংবার জানাচ্ছেন নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করা মুখের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। এতে কেবল মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় না, মুখের ভেতরের জীবাণু কমাতে, স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা বাড়াতে এবং মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে জিভ পরিষ্কার করার। তাই দাঁত মাজার পাশাপাশি প্রতিদিন জিভ পরিষ্কার করাও জরুরি।
রোজ জিভ পরিষ্কার করলে কী কী উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে?
১। জীবাণু দূর করে: আমাদের জিভের উপরিভাগ মসৃণ নয়, এতে অসংখ্য ছোট ছোট খাঁজ থেকে। বিজ্ঞানের ভাষায় এগুলিকে প্যাপিলা বলে। এই খাবার খাওয়ার সময় এই খাঁজগুলোতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যকণা জমে যায়। সেই খাদ্যকণার মধ্যে ব্যাকটিরিয়া বাসা করে। মুখের মৃত কোষও জমে থাকতে পারে। সব মিলিয়ে কার্যত আণুবীক্ষণিক নর্দমার মতো হয়ে ওঠে জায়গাগুলি। দাঁত ব্রাশ করার সময় কেবল দাঁতের বাইরের অংশ পরিষ্কার হয়, কিন্তু জিভের ভেতরের জীবাণু রয়ে যায়। জিভ পরিষ্কার করলে এই জীবাণু দূর হয়। মুখ সার্বিক ভাবে জীবাণুমুক্ত থাকে।
আরও পড়ুন: পুরুষের ওই বিশেষ লোমে কুকুরের থেকেও বেশি জীবাণু থাকে! ঠিকভাবে পরিষ্কার করবেন কীভাবে? জেনে নিন ৬ টিপস
২। দুর্গন্ধ কমায়: মুখের দুর্গন্ধের একটি প্রধান কারণ হল জিভের উপরে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়ার বিশেষত্ব হল, এগুলি বিভিন্ন বিক্রিয়ায় মাধ্যমে সালফারসমৃদ্ধ যৌগ তৈরি করে, এর থেকেই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। জিভ পরিষ্কার করার মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী যৌগগুলোকে দূর করা যায়, ফলে মুখের দুর্গন্ধ কমে যায়।
আরও পড়ুন: পুরুষের ওই বিশেষ লোমে কুকুরের থেকেও বেশি জীবাণু থাকে! ঠিকভাবে পরিষ্কার করবেন কীভাবে? জেনে নিন ৬ টিপস
৩। স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায়: দীর্ঘদিন জিহ্বা না পরিষ্কার করলে জিভের উপরে একটি সাদা বা হলদে রঙের আস্তরণ জমে যায়। এই আস্তরণ মূলত খাবারের কণা এবং তেল মশলা ও লালা জমে তৈরি হয়। এই আস্তরণ জিভের স্বাদ কোরকগুলির উপর পরতের মতো জমা হয়েছে কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। এর ফলে খাবারের আসল স্বাদ পাওয়া যায় না। জিভ পরিষ্কার করলে এই আস্তরণ সরে যায় এবং স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ে।
আরও পড়ুন: পুরুষের ওই বিশেষ লোমে কুকুরের থেকেও বেশি জীবাণু থাকে! ঠিকভাবে পরিষ্কার করবেন কীভাবে? জেনে নিন ৬ টিপস
৪। মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে: জিভের উপরে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া মুখের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং মাড়ির রোগ ও দাঁতের ক্ষয়ের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত জিভ পরিষ্কার করলে এই ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: পুরুষের ওই বিশেষ লোমে কুকুরের থেকেও বেশি জীবাণু থাকে! ঠিকভাবে পরিষ্কার করবেন কীভাবে? জেনে নিন ৬ টিপস
৫। সম্পূর্ণ মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: দাঁত মাজা এবং ফ্লস করার পাশাপাশি জিভ পরিষ্কার করাও মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মুখের ভেতরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
