আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকাল অল্পবয়সিদের মধ্যেও বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপ,কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগ। সঙ্গে ৩০ বছর পেরতে না পেরতেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে গিয়েছে। নেপথ্যে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস,শরীরচর্চার অভাব, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা সহ বিভিন্ন কারণ। আর শীতের সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু কেন জানেন? কীভাবেই বা বিপদ এড়াবেন? জেনে নেওয়া যাক- 

একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওর, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বেড়ে যায়। আসলে শীতে বাইরের তাপমাত্রা কম থাকলেও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। ফলে স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় হয়ে যায় এবং রক্তনালীগুলি সরু হয়ে যায়। এই অবস্থায় রক্তচাপ হঠাৎ করে বেড়ে গেলে রক্ত পাম্প করার জন্য হার্টকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। তখনই হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়াও শীতে বায়ুদূষণের ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দেয়। 

আগে থেকে হার্টের সমস্যা থাকলে শীতকালে বেশি সচেতন হতে হবে। সবসময় শরীরকে গরম রাখতে শীতবস্ত্র ব্যবহার করুন। 

শীতে শরীরচর্চায় অনেকেরই অনীহা থাকে। কিন্তু এই সময়ে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ফিট থাকতে নিয়মিত এক্সারসাইজ করা জরুরি। এতে হার্টও ভাল থাকবে। 

শীতের মরশুমে নিয়মিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান। রক্তচাপ  ও কোলেস্টেরল বাড়লে হৃদরোগের সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই এই দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। এছাড়াও ছ’মাস অন্তর অন্তর হার্টের চেকআপ করান। 

শীতে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হয়। কিন্তু হার্টকে সুস্থ রাখতে ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে৷ মরশুমি সবজি যেমন পালং শাক, গাজর, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি এবং বেরি,আপেল,কমলালেবুর মতো ফল, গোটা শস্য খান। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

শীতে দূষণের মাত্রা বাড়ে।  তাই এই সময়ে ধূমপান হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলতে হবে। 

হার্ট অ্যাটাকের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। যেমন- বুকে ব্যথা, বুকে বাঁ দিকে চাপ অনুভূত হওয়া, চোয়ালে ব্যথা, বমি-বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেবেন।