সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং ফিটনেস মহলে বেশ আলোচনায় উঠে এসেছে মোনো ডায়েট। অনুষ্কা শর্মা, বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে অনেক তারকা এই পদ্ধতি মেনে চলেন। যেখানে প্রতিটি মিল বা খাবারে খাওয়া হয় একটিমাত্র নির্দিষ্ট খাবার যা শুধু ওজন কমাতেই সাহায্য করে না, একইসঙ্গে কমায় খাবারের প্রতি ক্রেভিংও। পাশাপাশি স্থিতিশীল থাকে ইনসুলিনের মাত্রা।

কী এই মোনো ডায়েট? এক্ষেত্রে প্রতিবারের খাবারে থাকে মাত্র একটি খাবার—যেমন শুধু ভাত, শুধু ডিম, শুধু ফল বা শুধু আলু।  এই ডায়েটে খাবারের সংখ্যা কমানো হয় না,বরং প্রতিটি মিলকে সহজ করা হয়। ফলে শরীর বিভ্রান্ত হয় না, হজমে অতিরিক্ত পরিশ্রমও করতে হয় না।

মনোডায়েটে কেন ওজন কমে দ্রুত? পুষ্টিবিদদের মতে, খাবারের বৈচিত্র্য যত বেশি হবে, আমাদের মস্তিষ্ক তত বেশি খেতে চাইবে।কিন্তু একই খাবার বারবার খেলে ক্রেভিং কমে যায়, ফলে ক্যালরি গ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই কমে আসে।সহজ খাবার দ্রুত হজম হয়, ফলে শরীর ফ্যাট বার্নিং মোডে বেশি সময় থাকে। কাধিক ব্যক্তির অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সপ্তাহ দু’একবারমোনো ডায়েট অনুসরণ করলে ওজন কমার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।

এছাড়া এই ডায়েটে খাবারের ধরন ও জটিলতা কমে যাওয়ায় রক্তে শর্করার ওঠানামা কম হয়। ফলে ইনসুলিন লেভেল থাকে স্থিতিশীল। হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। অতিরিক্ত খিদে বা মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। বিশেষ করে যারা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা প্রি-ডায়াবেটিস সমস্যায় ভুগছেন, তাদের উপকার পেতে দেখা গেছে।বহু ধরনের খাবার একসঙ্গে খেলে হজমতন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে। কিন্তু একটি খাবার একবারে খাওয়ায় পাচনতন্ত্রে চাপ কমে, ফোলাভাব ও অম্লতা কমে, অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত হয়।

কেন জনপ্রিয় হচ্ছে এই পদ্ধতি? এতে জীবনযাত্রা হয় সহজ, রান্নার ঝামেলা কম, অল্প খাবারেই পেট ভরে, দ্রুত ফল দেখা যায়। 
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যদিও মোনো ডায়েট বেশ কার্যকরী, তবু দীর্ঘদিন করলে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। তাই সপ্তাহে ৩–৪ দিন চেষ্টা করা যেতে পারে,এবং বাকি দিনগুলোতে বৈচিত্র্য রাখা উচিত।