আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ গরমকাল হোক বা শীত। শরীর ও ত্বকের জলের প্রয়োজনীয়তার শেষ নেই।শরীর হাইড্রেট থাকলে তবেই অনেক ক্ষতিকর রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরের সমস্ত কাজকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে ও স্বাভাবিক রাখার জন্য জল খাওয়া জরুরি।কিন্তু সেই জলের পরিমাণ দুই থেকে তিন লিটারেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।কারণ, বেশি জল খেলে আবার উল্টো বিপত্তি ঘটতে পারে।
কিন্তু এমন কিছু ঘরোয়া উপকরণ আছে যা জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জল খেলে অনেক উপকার মিলবে। জলের পাশাপাশি এইসব উপায়ে জল খেলে জলের মতোই অতিরিক্ত লাভবান হবে আপনার শরীর।
কিসমিস ভেজানো জল শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।রাতে ১০-১২টি কিসমিস এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন।পরেরদিন সকালে খালি পেটে পান করুন এই জল।দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে সমাধান করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই জল।ফাইবার, ভিটামিন, এবং আয়রন থাকায় এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও হজমশক্তি উন্নত করে।
যা অনেকেরই অজানা। ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃন করে কিসমিসের জল।কিশমিশে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য উপকারী।
ক্লান্তি দূর করে এনার্জি ফিরিয়ে আনে।
দাড়চিনি জল- এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে দু'টুকরো দারচিনির কাঠি দিয়ে ভিজিয়ে দিন। আধঘন্টা রেখে দারচিনি ছেঁকে জল খেয়ে নিন।খালি পেটে বা ব্রেকফাস্টের পরও খেতে পারেন। রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই জল।মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে দেয় ও অতিরিক্ত ওজনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আদা জল- আদা জল হজমকারী এনজাইম উৎপাদন বাড়িয়ে হজম ক্ষমতা বাড়ায়।পেট ফাঁপা, বদহজম, অম্বল, গ্যাসের মতো সমস্যা দূর করে।অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
লেবু জল - লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।লেবু জল পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়।
লেবু জল পান করলে হজমশক্তি বাড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান থাকে।
সাইট্রিক অ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।লেবু জল পান করলে শরীর ও মন সতেজ থাকে এবং ক্লান্তিভাব কম হয়।সারাদিনে যেকোনও সময় একটু উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
চাল ভেজানো জল:চাল ধোয়া জলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ময়শ্চারাইজিং এবং ইউভি রশ্মি শোষণকারী বৈশিষ্ট্য ত্বকের জন্য উপকারী।
চুলের জন্য উপকারীএই জল।চাল ধোয়া জলে থাকা ভিটামিন বি, সি, এবং ই চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও, চুলের জেল্লা ফেরানোর কাজ করে ভিটামিন বি-৭।
