ভুল সময়ে ভিটামিন ডি খাচ্ছেন? জানুন চিকিৎসকের গোপন টিপস, না হলে বৃথা সব চেষ্টা
নিজস্ব সংবাদদাতা
৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৯ : ৪০
শেয়ার করুন
1
7
ভিটামিন ডি হাড় মজবুত রাখা এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্লিমেন্টগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু অনেকেই এটি এমনভাবে গ্রহণ করেন, যাতে এর পূর্ণ উপকার মেলে না। নিউরোলজিস্ট ড. সুধীর কুমার সম্প্রতি জানিয়েছেন ভিটামিন ডি গ্রহণের সঠিক সময় নির্ধারণ করাই এর কার্যকারিতার মূল চাবিকাঠি।
2
7
ড. কুমারের কথা অনুযায়ী, ভিটামিন ডি একটি ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন। অর্থাৎ এটি সবচেয়ে ভালভাবে শরীরে শোষিত হয় যখন এটি এমন খাবারের সঙ্গে নেওয়া হয়, যাতে কিছুটা ফ্যাট থাকে— যেমন দুধ, ডিম, বাদাম বা অ্যাভোকাডো। তিনি সতর্ক করে বলেন, খালি পেটে ভিটামিন ডি নিলে এর কার্যকারিতা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে।
3
7
ড. কুমার পরামর্শ দেন, দিনের সবচেয়ে ভারী খাবারের পর ভিটামিন ডি নেওয়া উচিত। তাঁর কথায়, “বড় খাবার, ছোট ভিটামিন— এই কম্বিনেশনই আসল কাজ করে।” অর্থাৎ, ডোজের পরিমাণ নয়, বরং সময় ও খাদ্যের গঠনই আসল বিষয়।
4
7
খাদ্যে যদি ফ্যাট না থাকে, তবে শরীর ভিটামিন ডি সঠিকভাবে শোষণ করতে পারে না। ফলে ভিটামিনটি শরীরে কাজ করতে পারে না এবং এর সুফল অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই খুব সহজ একটি পরিবর্তন— অর্থাৎ খাবারের সঙ্গে ভিটামিন ডি নেওয়া শরীরে এর কার্যকারিতা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
5
7
ভিটামিন ডি শুধু হাড় মজবুত রাখার জন্য নয়, বরং পেশ পুনর্গঠন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, মানসিক ভারসাম্য ও হৃদস্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে যদি ভিটামিন ডি ঠিকভাবে শোষিত না হয়, তবে এসব উপকারিতা পুরোপুরি মেলে না, বিশেষ করে বয়স্ক বা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।
6
7
নিয়মিতভাবে খাবারের পর ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে শরীর প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়। অ্যাভোকাডো টোস্ট, দুধ, বা একমুঠো বাদাম, এই ধরনের খাবার ভিটামিন ডি-এর সেরা সঙ্গী হতে পারে।
7
7
ড. কুমারের কথায়, স্বাস্থ্য সচেতনতার মানে সবসময় ব্যয়বহুল চিকিৎসা নয়। বরং শরীর যেন যা নিচ্ছে, তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে— সেটাই মূল। ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন ডি-র ক্ষেত্রে, খাবারের সঙ্গে সামান্য স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যোগ করলেই এটি তার কাজ সম্পূর্ণভাবে করতে পারে