বিষ বললেই প্রথমেই সাপের কথা মাথায় আসে। কিন্তু জানেন কি সাপের অন্যতম প্রিয় খাদ্য ব্যাঙও ভয়ানক বিষাক্ত হতে পারে? কোনওটির সোনার মতো চকচকে ত্বক, কারও গায়ে আবার নীল-কালো বা হলুদ-সবুজের অদ্ভুত সব নকশা! দেখে মনে হবে যেন শিল্পীর তুলি দিয়ে আঁকা। কিন্তু এই চরম সৌন্দর্যই হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক বিপদের সঙ্কেত।
2
7
১। গোল্ডেন পয়জন ফ্রগ: এরাই পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর মেরুদণ্ডী প্রাণী। সোনা রঙের এই ছোট্ট ব্যাঙটি থাকে কলম্বিয়ায়। এদের শরীর থেকে যে বিষ বের হয়, তার এক ফোঁটা অন্তত দশ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে।
3
7
২। ব্লু পয়জন ডার্ট ফ্রগ: সুরিনামের গভীর জঙ্গলে দেখা মেলে এই ব্যাঙের। এদের রং বিদ্যুতের মতো নীল, তার ওপর কালো কালো ছোপ। দেখতে অসাধারণ হলেও এদের বিষ কিন্তু মারাত্মক।
4
7
৩। ব্ল্যাক-লেগড পয়জন ফ্রগ: এই ব্যাঙ অনেকটা গোল্ডেন ফ্রগের মতোই দেখতে, তবে এদের পা দু’টি কালো। স্থানীয় শিকারিরা এখনও এদের বিষ ব্যবহার করে তীরের মাথায় লাগিয়ে নেয়। তারপর সেই বিষাক্ত তীর দিয়ে পশুপাখি শিকার করে।
5
7
৪। ডাইয়িং পয়জন ডার্ট ফ্রগ: হলুদ, সাদা আর নীল রঙের দারুণ মিশেল এদের শরীরে। চোখে পড়ার মতো সুন্দর, কিন্তু এদের বিষের মারণ ক্ষমতাও কম নয়।
6
7
৫। গ্রিন অ্যান্ড ব্ল্যাক পয়জন ডার্ট ফ্রগ: সবুজ আর কালো রঙের বৈপরীত্য এদের রূপকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। এই প্রজাতির বিষাক্ত ব্যাঙ পাওয়া যায় মধ্য আমেরিকার জঙ্গলে।
7
7
৬। ফ্যান্টাসমাল পয়জন ফ্রগ: আকারে ছোট হলেও এদের বিষ খুব তীব্র। লাল, হলুদ আর কালো ডোরাকাটা এই ব্যাঙটি যেন প্রকৃতির এক রঙিন সৃষ্টি।