বিগত কয়েক বছর ধরে পুজোর মেকওভারে স্ট্রেট চুল ভীষণ রকম ইন। আসলে স্ট্রেট চুলে জট পড়ার তেমন সম্ভাবনা থাকে না। দেখভাল করাও কষ্টসাধ্য নয়। কোঁকড়া চুলের বদলে আবার অনেকেই সোজা চুল পছন্দ করেন। তাই হেয়ার স্ট্রেটনিংয়ের দিকে ঝোঁক বেশি নতুন প্রজন্মের। এদিকে পার্লারে গিয়ে কেরাটিন, স্মুদনিং, স্ট্রেটনিং করিয়ে সাময়িকভাবে চুল দেখতে ভাল লাগে ঠিকই, কিন্তু এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান সম্বৃদ্ধ ক্রিম চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সঙ্গে খরচ সাপেক্ষও বটে। এই পরিস্থিতিতে ঘরেই রয়েছে মুশকিল আসান!
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত যত্ন নিলে রাসায়নিক ছাড়া ঘরে বসেই চুলকে অনেকটা সোজা ও আকর্ষণীয় রাখা সম্ভব। এতে শুধু সৌন্দর্য বাড়ে না, চুলের স্বাস্থ্যও দীর্ঘদিন অক্ষুণ্ণ থাকে। ঘরে বসেই অত্যন্ত কম খরচে সহজে করতে পারবেন হেয়ার স্ট্রেটনিং। রইল কিছু সহজ ও ঘরোয়া পদ্ধতির হদিশ
১. তেল ও গরম জলের মিশ্রণঃ চুল ধোওয়ার আগে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে চুলে ভালভাবে মালিশ করুন। তেল চুলকে নরম করে, আর গরম জলের ভাপ চুলের গোড়ায় আর্দ্রতা জোগায়। নিয়মিত করলে চুল স্বাভাবিকভাবে সোজা ও মসৃণ হতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ ঘরে লুকিয়ে সৌভাগ্যের রহস্য! এই কটি বাস্তু নিয়ম মানলেই আমচমকা চোখের সামনে ঘটবে চমক
২. ধোওয়ার পর ধীরে ধীরে আঁচরানোঃ চুল ধোওয়ার পর ভেজা অবস্থায় অনেকেই জোরে আঁচরান, যা চুলের ক্ষতির কারণ হয়। পরিবর্তে বড় দাঁতওয়ালা ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে টেনে চুল শুকাতে দিন। এতে চুল বাঁকানো বা এলোমেলো হয়ে থাকে না এবং কিছুটা সোজা হয়ে যায়।
৩. দুধ ও ডিমের প্রোটিন প্যাকঃ একটি ডিমের সঙ্গে আধ কাপ দুধ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। দুধ ও ডিমের প্রোটিন চুলকে পুষ্টি দেয়, মজবুত করে এবং প্রাকৃতিকভাবেই চুল সোজা করে।

৪. অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহারঃ অ্যালোভেরা জেল চুলের আর্দ্রতা যোগায়। এর প্রাকৃতিক এনজাইম চুলকে নরম, মসৃণ ও তুলনামূলক সোজা রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার করলে ফল পাবেন।
৫. অতিরিক্ত তাপ এড়িয়ে চলাঃ হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনার ব্যবহার করলে মাঝারি তাপে ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত তাপ চুলের প্রাকৃতিক গঠন নষ্ট করে। বাইরে হালকা বাতাসে চুল শুকাতে দেওয়া বা প্রাকৃতিকভাবে শুকানোর অভ্যাস গড়ে তুললে চুল স্বাস্থ্যকর থাকে এবং সহজে ভাঙে না।
