বাড়িতে পোষ্য থাকলে বেশ কেটে যায় অবসর। নিঃস্বার্থ ভালবাসায় এক নিমেষে ভাল হয়ে যায় মন। মনরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক অবসাদ কাটাতেও পোষ্যরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কিন্তু সারমেয়দের যত্নে সামান্য গাফিলতি হলেই বিপদ হতে পারে। বিশেষ করে কুকুরদের গায়ে ‘টিক ফিভার’ নামে এক ধরনের পরজীবীর সংক্রমণ ঘটে। যার কারণে বাড়ির আদুরে সদস্যের কষ্ট পোহাতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন, জেনে নিন-
পোকাকামড় বাসা বাঁধলে কুকুর বারবার চুলকায় বিশেষ করে লেজ, গলা বা পিঠের কাছে।
চুলকানির কারণে ত্বকে লাল, জ্বালা, ফোসকা বা র্যাশ দেখা দিতে পারে। কিছু সময় পর লোম পড়ার সমস্যা দেখা যায়।
যদি পোকা অনেক হয়, তাহলে লোমের মাঝে কালচে বা ভাঙা অংশ দেখা যায়-যাকে 'ফ্লি ডার্ট' বলা হয়।
চুলকানি ও লালচে ত্বকের পাশাপাশি লোম পড়া বা স্ক্যাব তৈরি হলে, কুকুর ধীরে ধীরে দুর্বল বা অস্বস্তিতে পড়তে পারে।
টিক সাধারণত ছোট-ছোট, টেকসই, শক্ত গুটির মতো পোকা ত্বকে আটকে থাকে। প্রায়ই কান, পা, পায়ের আঙুলের প্রথম ফাঁকে বা লেজের কাছাকাছি দেখা যায়।
কিছুক্ষণের জন্য মাথায় বা গলায় একটু চুলকানির মতো অনুভূতি হয়।
যদি সংক্রমণ অনেক হয়, তখন কুকুরের মধ্যে খাবারে অনীহা, খিদে কমে যাওয়া, ক্লান্তি বা উদাসীনতা দেখা দিতে পারে।
টিকের কামড় নিয়ে আরও নানা ধরণের সমস্যা হতে পারে। যেমন ত্বকে ফোলা, সংক্রমণ, এমনকী রক্তাল্পতাও দেখা দিতে পারে।
যদিও চুলকানি বা হালকা লালচে ত্বকই প্রথম চিহ্ন। কিন্তু যদি সময়মতো খেয়াল না রাখা যায়, তাহলে পোকা বা টিক দ্রুত বাড়তে পারে। পোকা বাড়লে বাড়ির বিছানা বা কার্পেটেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
কী করবেন
নিয়মিত কুকুরের গায়ের ত্বক এবং লোম ভাল করে খেয়াল রাখুন। কান, গলার পিছনে, লেজ, পা-আঙুলের ফাঁকা সব জায়গা লক্ষ্য রাখুন।
যদি কালো দানা বা ছোট বাম্প দেখেন চুলকানি হয়, তাহলে দ্রুত নিকটস্থ পশু চিকিৎসক-এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ঘরের বিছানা, কার্পেট ও এমন সব জায়গা যেখানে কুকুর ঘোরে নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
প্রয়োজনে পশু-উপযোগী পোকা ও টিক প্রতিরোধক স্প্রে, বা ওষুধ ব্যবহার করুন।
