অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা আর হাই ব্লাড প্রেশারে ভুগছেন? নেপথ্যে কি গ্রহের অশুভ প্রভাব? জ্যোতিষশাস্ত্রে সহজ সমাধান
নিজস্ব সংবাদদাতা
২৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৮ : ১৯
শেয়ার করুন
1
8
আজকাল অনিদ্রা, অতিরিক্ত চিন্তা, মানসিক অস্থিরতা কিংবা হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান যেখানে এগুলোর কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে স্ট্রেস, অনিয়মিত জীবনযাপন, স্ক্রিন-টাইম বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা-ঠিক সেখানেই জ্যোতিষশাস্ত্র তুলে ধরছে একটি আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি।
2
8
বহু জ্যোতিষীর মতে, কিছু মানুষের এসব সমস্যার নেপথ্যে থাকতে পারে গ্রহের অশুভ প্রভাব, বিশেষত চন্দ্র, রাহু, শনি এবং বুধের অবস্থান।
3
8
জৈবিকভাবে ঘুম, মন ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে চন্দ্র গ্রহের। কুণ্ডলিতে চন্দ্র যদি দুর্বল হয় বা রাহু–কেতুর ছায়াতে পড়ে, তাহলে মন অস্থির হয়ে ওঠে, ভয়-উদ্বেগ বাড়ে, রাতে বার বার ঘুম ভাঙে বা ঘুমই আসে না। অনেক সময় মানুষ বুঝতেই পারেন না যে তার অনিদ্রার মূল কারণ মানসিক চাপ নয়, বরং জন্মছকে চন্দ্রের ‘দোষগ্রস্ত’ অবস্থা।
4
8
অন্যদিকে, বুধ দায়িত্ব নেয় বুদ্ধি ও চিন্তার ভারসাম্যের উপর। বুধের অশুভ প্রভাব থাকলে অতিরিক্ত ভাবনা, অতিরিক্ত বিশ্লেষণ বা উদ্বেগ তৈরি হয় যা রাতে শোওয়ার পর আরও প্রভাব ফেলে। এ কারণে মানুষ ঘুমোতে গেলেও মন শান্ত হয় না।
5
8
শনি-র অশুভ প্রভাব দেখা দিলে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ, হতাশা, শারীরিক ক্লান্তি আর দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। এমনকী হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার পেছনেও শনি সংক্রান্ত দোষ কাজ করতে পারে বলে মনে করেন জ্যোতিষীরা। এর সঙ্গে যদি রাহু যোগ হয়, তাহলে সমস্যাগুলো আরও তীব্র হতে পারে। রাহু–চন্দ্র যোগকে তো অনেক জ্যোতিষী ‘চিন্তার তুফান’ বলেই অভিহিত করেন।
6
8
তবে এসব সমস্যার সমাধান হিসেবে জ্যোতিষশাস্ত্র কিছু সহজ, দৈনন্দিন অভ্যাসের কথাও বলে যা মানসিক শান্তি আনার পাশাপাশি ঘুম ও স্বাস্থ্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
7
8
নিয়মিত ধ্যান বা প্রার্থনা, রাতের খাবার হালকা রাখা, শোওয়ার আগে স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা, চন্দ্র–শান্তিকর রীতি যেমন চন্দ্র মন্ত্র বা রুদ্রাক্ষ ধারণ, ঘরের বাতাস ও আলো–আঁধারির সঠিক পরিবেশ তৈরি, শনি দোষ কমাতে নিয়মিত সুনির্দিষ্ট আধ্যাত্মিক অনুশীলন।
8
8
জ্যোতিষীরা মনে করেন, এগুলো শুধু গ্রহগত প্রভাব কমাতেই নয়, বরং মানুষের মনকেও প্রশান্ত করে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, যদি কারও অনিদ্রা, উদ্বেগ বা উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে জ্যোতিষীয় ব্যাখ্যার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াও অত্যন্ত জরুরি।