বর্তমানে কমবয়সিদের মধ্যেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা নজরে আসে। ইউরিক অ্যাসিড একটি বর্জ্য পদার্থ, যা পিউরিন নামক উপাদানের ভাঙনের ফলে শরীরে তৈরি হয়। পিউরিন অনেক ধরনের খাবারে পাওয়া যায়। শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড জমতে থাকলে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব, শক্ত হয়ে যাওয়া এবং হাঁটাচলা করতে সমস্যা দেখা দেয়। ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া পদ্ধতিতেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
2
8
এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি কয়েকটি পানীয় শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সহায়ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ সকালে খালি পেটে এই কয়েকটি বিশেষ পানীয় খেলে ২১ দ্রুত সুফল দেখতে পাবেন।
3
8
টার্ট চেরি জুস: চেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিনস নামের উপাদান শরীরের প্রদাহ কমায় এবং অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড গলিয়ে কিডনির মাধ্যমে বার হতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা গাউট বা জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন, তাদের জন্য টার্ট চেরি জুস বিশেষভাবে উপকারী।
4
8
আদা চা: আদায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এটি রক্তের ইউরিক অ্যাসিডের গঠন প্রক্রিয়া কমায় এবং শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে বা দুপুরে এক কাপ আদা চা পান করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।
5
8
লেবুর জলঃ লেবুর ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম শরীরের অ্যাসিড অ্যালকালাইন ব্যালান্স ঠিক রাখে। বিশেষ করে লেবুর রস ইউরিক অ্যাসিডের সলিউবিলিটি বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে তা সহজেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বার হয়ে যায়। সকালে হালকা গরম জলে লেবু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
6
8
গ্রিন টি: গ্রিন টির পলিফেনল ইউরিক অ্যাসিড উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত এনজাইমগুলোর কার্যক্রম কমায়। পাশাপাশি এটি কিডনির ফিল্টারিং ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত অ্যাসিড সহজে নিষ্কাশিত হয়। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
7
8
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে রয়েছে অ্যাসেটিক অ্যাসিড যা শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং ইউরিক অ্যাসিড গলিয়ে ফেলার প্রক্রিয়ার গতি বাড়ায়। এক গ্লাস জলে ১–২ চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে এটি সরাসরি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এতে দাঁত ও গলার ক্ষতি হতে পারে।
8
8
চিকিৎসকদের মতে, এসব প্রাকৃতিক পানীয় শরীরকে সহায়তা করে ঠিকই, তবে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড বা