আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘লক্ষ্মী’ কন্ঠে পাঁচালি পাঠ করে উন্নয়নের পাঁচালির সূচনা হল চুঁচুড়ায়। বুধবার টোটো চালিয়ে চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে ১২টি টোটো ট্যাবলোর সূচনা করেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তার আগে তৃণমূল মহিলা কর্মীরা উন্নয়নের পাঁচালি পাঠ করেন।
বিধায়ক জানিয়েছেন, বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নের পাঁচালি মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রতি বুথে, পাড়ায় ও মহল্লায় ঘুরবে এই টোটো।
গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়েছে এই পাঁচালিতে। বিধায়ক বলেন, ‘দলের মহিলা কর্মীরা হল লক্ষ্মী। সেই লক্ষ্মীরা রোজ বাড়িতে পাঁচালি পড়েন। এবার উন্নয়নের পাঁচালি শোনানো হবে পাড়ায় পাড়ায়। লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ ছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। সারা বছর মানুষের পাশে থাকে তৃণমূল।’ বুধবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক বলেন, ‘সাংসদ দিল্লিতে আছেন। দলের কর্মসূচীতে আগামী দিনে সাংসদ থাকবেন তাঁর সংসদ এলাকায়।’
এটা ঘটনা, ডিসেম্বরের শুরুতেই ১৫ বছরে রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ান বা ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ছ’টি ভাষায় রিপোর্ট কার্ডের উদ্বোধন করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘২০১১ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখনকার তুলনায় অর্থনৈতিক সাফল্য (জিএসডিপি) বেড়ে এখন প্রায় ২০ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।’ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, রাজ্যের কর এবং রাজস্ব বেড়েছে ৫.৩৩ গুণ। এছাড়াও ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বেড়েছে ১৭.৬৭ শতাংশ। সোশ্যাল সেক্টর এক্সপেন্ডিচার বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশের বেশি। কৃষি ক্ষেত্রে বেড়েছে ৯.১৬ গুণ বেশি। ফিজিক্যাল সেক্টর এক্সপেন্ডিচার বেড়েছে ৬.৯৩ গুণ বেশি। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল অর্থাৎ ১০ বছরে এক কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার বাইরে আনা হয়েছে।
বেকারত্ব এবং কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি। মমতা বলেছিলেন, ‘রাজ্যে দু’কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সারা দেশে আমরা বেকারত্ব হার ৪০ শতাংশ কমিয়েছি।’ রাজ্যে ছ’টি অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, ‘এখানে আরও এক লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।’ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, রাজ্যে মেট্রোর কোচ, লোকাল কোচ, ভারী যন্ত্রপাতি, জাহাজ তৈরি হচ্ছে। সিমেন্ট, ইস্পাত কারখানার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে রাজ্যে এক কোটি ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ কাজ করছেন। ৪২ লক্ষ ছেলেমেয়েকে স্কিল ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।’
