আজকাল ওয়েবডেস্কঃ পিত্তথলি হল একটি ছোট থলি আকৃতির অঙ্গ যা লিভারের ঠিক নীচে থাকে। এর প্রধান কাজ হল পিত্ত সংরক্ষণ করা। পিত্তথলির পাথর ছোট বা বড় হতে পারে। পিত্তথলির ভেতরে এটি তৈরি হয়। এখন পিত্তথলিতে পাথর কেবল বয়স্কদের রোগ নয়। বর্তমানে তরুণদের পেটেও পাথর জমছে।
অনেক সময় পিত্তথলিতে পাথর হলে কোনও লক্ষণ দেখা যায় না, আবার পাথরগুলি পিত্তের প্রবাহকে বাধা দিলে তীব্র ব্যথা এবং অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই অবস্থা কখনও কখনও এতটাই বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে যে আক্রান্ত ব্যক্তির দৈনন্দিন কাজকর্ম মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজকার কয়েকটি অভ্যাসে বদল আনলেই গলব্লাডার স্টোনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
*প্রসেসড খাবারঃ বার্গার, পিৎজা, চিপসের মতো খাবারে ফাইবার কম থাকে। বদলে বেশি থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। ফলে পিত্ত ঘন হয়ে যাওয়ার এবং পিত্তথলিতে পাথর তৈরির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
*ক্রাশ ডায়েট ও ওজন কমে যাওয়াঃ অনেক তরুণ-তরুণী হঠাৎ ওজন কমানোর জন্য কিটো ডায়েট, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা ডিটক্স ডায়েট অনুসরণ করেন। যার ফলে লিভার আরও বেশি কোলেস্টেরল নিঃসরণ করে, যা পাথর গঠনের প্রক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে দেয়।
*দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস এবং মানসিক চাপঃ দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং সময়মতো না খাওয়াও হজম এবং বিপাককে প্রভাবিত করে যা পিত্তথলিতে পাথরের কারণ হতে পারে।
*দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধার্ত এবং একসঙ্গে অনেক বেশি খাওয়াঃ যখন আমরা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধার্ত থাকি এবং একসঙ্গে অনেক খাবার খাই, তখন পিত্তথলি সঠিকভাবে সংকোচন করতে পারে না, ফলে পিত্ত আটকে যায় এবং পাথর তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
