আজকাল ওয়েব ডেস্ক: কর্মক্ষেত্রে চলে গেলে আপনার পোষ্য কুকুরকে দেখাশোনা, যত্ন, মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার কথা প্রায় অনেকেই খেয়াল রাখেন না। শুধুমাত্র বাইরে গেলে নয়, বাড়িতে থাকলেও তার সঙ্গে উপযুক্ত সময়, খেলা, সঙ্গ দেওয়ার কথা কজনেরই মনে থাকে। অফিসে থাকলে সারাদিন আপনার কুকুরটি বাড়িতে একা থাকে।দরজার ছিটকিনি খোলার অপেক্ষায় ওর চোখ সেইদিকেই আটকে থাকে। ছুটির দিনেও বাড়ি থাকলে নিজেদের ব্যস্ততা, সাংসারিক কাজ, পরিবারের সকলের সঙ্গে গল্প, সময় কাটানোর সময় আপনার প্রিয় পোষ্য কুকুরটি ব্রাত্য থেকে যায়।একা ঘরের কোণে বসে থাকে।

কুকুরের প্রতি এই অবহেলা আপনার জীবনে নানা ধরনের সমস্যা বয়ে নিয়ে আসতে পারেন, জানেন কি?

বাড়ির পোষ্য কুকুরটি কেতু রাশির প্রতিনিধিত্ব করে।কেতু হল কর্ম ও আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে উন্নতির রাশি।তাই শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও কুকুরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। সঠিকভাবে পরিচর্যার পাশাপাশি কুকুরের সঙ্গে কোয়ালিটি সময় কাটানো উচিত।এতে আপনার কেতু রাশির সমস্ত নেগেটিভ এনার্জি নষ্ট হয়ে আপনার কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হবে।

পোষ্য কুকুরটির প্রতি খারাপ ব্যবহার, পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে না দেওয়া এবং মারধর করলে কেতু রাশির প্রকোপে আপনার জীবনে হঠাৎ প্রতি ক্ষেত্রে বাধা বিপত্তি, রোগবালাই এমনকি কর্মক্ষেত্রে অনুন্নতির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

সুতরাং আপনার পোষ্যটিকে নিজের জীবনের ও বাড়ির খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে রাখুন আপনার জীবনে।এতে কেতু রাশির সমস্ত খারাপ প্রভাব কেটে গিয়ে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে আপনার বাড়িতে। কর্মের সুফল হিসেবে আপনি থাকবেন সুস্থ ও সুন্দর।সময় পেলেই বাড়ির কুকুরটিকে নিয়ে রাস্তায়, পার্কে হাঁটতে যান। বাড়িতে ওর সঙ্গে বল, বিভিন্ন রঙ বেরঙের খেলনা নিয়ে খেলুন।টিভি দেখার সময় বাড়ির বাকিদের মতো পোষ্য কুকুরটিকেও সঙ্গে নিয়ে বসুন। কখনও যেন ওর নিজেকে ব্রাত্য ও একা না মনে হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। তিনমাস অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।