আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাজারে গিয়ে আমরা সকলেই আগে জ্যান্ত মাছ খুঁজি। বিশেষ করে বাঙালিরা। জ্যান্ত মাছের ঝোল দিয়ে ভাত না খেলে আমাদের মনই ভরে না। কিন্তু আপনার আমার পেটে চালান হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রাণীগুলিকে কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সেটা কারও আন্দাজও নেই। নতুন গবেষণায় সেটাই খুঁজে বার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ নামক একটি জার্নালে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাছগুলিকে মারার একটি সাধারণ পদ্ধতি হল জল থেকে তুলে এনে এমনি ফেলে রাখা। এর ফলে শ্বাসরোধ হয় মৃত্যু হয় মাছগুলির। রেনবো ট্রাউটের মতো মাছগুলি ১০ মিনিট এই কঠিন পরিবেশে বেঁচে থাকে। এরপরেই সেগুলি হাল ছেড়ে দেয়।

গবেষণায় দেখা গেছে যে বাতাসের সংস্পর্শে আসার মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই মাছগুলি মানসিক চাপের লক্ষণ দেখাতে শুরু করে। এই চাপের প্রতিক্রিয়া অন্যান্য চাপের চেয়ে অনেক বেশি তীব্র। ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে মাছ হাইড্রোমিনারেল ভারসাম্যহীনতায় ভুগতে শুরু করে। এর ফলে তাদের শরীরে জল এবং খনিজ পদার্থের ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটে। যা তাদের ব্যথা এবং অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তোলে।

কিছু জায়গায়, মাছকে বরফ-ঠান্ডা জলে রেখে মেরে ফেলা হয়। তবে, গবেষণায় বলা হয়েছে যে এই পদ্ধতিটি আরও বেশি যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। বরফশীতল জলে মাছের বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। যার অর্থ জ্ঞান হারাতে বেশি সময় লাগে। ফলস্বরূপ, তারা দীর্ঘ সময় ধরে বেঁচে থাকে এবং ব্যথা অনুভব করে।

গবেষকদের দাবি, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ মারা হলে সেটি অনেক মানবিক পদ্ধতি। এর ফলে মাছগুলি কম ব্যথা অনুভব করে।