ব্রণর সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে খাওয়াদাওয়ার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসই অনেক সময় ব্রণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে থাকে। আসলে খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে ত্বকের স্বাস্থ্যের সম্পর্ক গভীর। তাই ব্রণ নিয়ন্ত্রণে তিন ধরনের খাবার রয়েছে যা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। 


কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন

*চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার: অতিরিক্ত চিনি বা রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট খেলে শরীরে ইনসুলিন দ্রুত বেড়ে যায়। এতে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং ত্বকে অতিরিক্ত তেল জমে ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সহজেই ব্রণ বেরতে পারে।

 

আরও পড়ুনঃ ফিট থাকতে অতিরিক্ত প্রোটিন খাচ্ছেন? জানেন কতটা প্রোটিন আপনার শরীরের সত্যিই দরকার? বেশি খেলেই বাড়ে মারণ রোগের ঝুঁকি


*দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরুর দুধ বিশেষত স্কিম মিল্ক ব্রণর সমস্যা আরও খারাপ করতে পারে। দুধে থাকা প্রোটিন ও হরমোন শরীরে ইনসুলিন-লাইক গ্রোথ ফ্যাক্টর-১ (IGF-1) বাড়ায়, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে ও ত্বকের সমস্যা বাড়ায়।

*প্রসেসড বা জাঙ্ক ফুড: যে কোনও ধরনের জাঙ্ক ফুড বা প্রসেসড খাবার যে শরীরের জন্য ভাল তা মোটামুটি সকলেরই জানা। কিন্তু জানেন কি এই ধরনের খাবার চুলের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিংবা অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবারে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট, সংরক্ষণকারী রাসায়নিক ও অতিরিক্ত লবণ থাকে। এগুলি শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং ব্রণ আরও বাড়িয়ে দেয়। 

আরও পড়ুনঃ দামি প্রসাধনী থেকে ঘয়োয়া টোটকা, চুল পড়া কমাতে সবই ব্যর্থ? শরীরে এই সব পুষ্টির অভাব কিনা দেখে নিন তো!


বিকল্প কোন খাবার খাবেন 

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দুধের পরিবর্তে আলমন্ড মিল্ক বা বাদাম দুধ বেছে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বেশি করে রাখুন শাকসবজি, ফল, গোটা শস্য, ডাল ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। পালং শাক, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স  সিড এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে।