আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকাল অল্প বয়স থেকেই শরীরে থাবা বসাচ্ছে বিভিন্ন জটিল রোগ। যার জন্য শুধু ওষুধের উপর নির্ভরশীল হলে চলে না, বদলাতে হয় খাদ্যভাস, জীবনযাপনও। বিশেষ করে রোজকার ডায়েটে বেশ কিছু খাবার রাখলে অনেক রোগভোগ থেকে দূরে থাকা যায়। তেমনই একটি সবজি হল ঝিঙে। প্রায় প্রতিটি বাঙালির হেঁসেলে ঝিঙের দেখা মেলে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে অতি পরিচিত এই সবজিতে রয়েছে হরেক গুণ। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাণ্ডার ঝিঙে স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।
ঝিঙে লিভারকে ভাল রাখতে খুবই কার্যকরী। বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ, অ্যালকোহল ও অপাচ্য খাদ্যকণা থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে ঝিঙে। পিত্তরসের ক্ষরণ ভাল রাখতেও ঝিঙের জুড়ি মেলা ভার। এই কারণই জন্ডিস থেকে সেরে ওঠার সময় ঝিঙে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ঝিঙে আয়রনে সমৃদ্ধ। তাই রক্তাল্পতায় ভুগলে নিয়মিত ঝিঙে খেলে উপকার মিলবে। ঝিঙেতে থাকে ভিটামিন-বি ৬ যা রক্তসঞ্চালন ভাল রাখতে বেশ কার্যকরী।
ঝিঙেতে ফ্যাট ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে না বলেই চলে। বরং ঝিঙে দেহে ফ্যাট জাতীয় পদার্থ জমতে দেয় না। একইসঙ্গে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট পরিপাকেও সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত ওজন খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজনও।
ঝিঙেতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান, সেলুলোজ থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এক চামচ মধু সহ এক কাপ ঝিঙের রস খেলে উপকার পাবেন। ভাল থাকবে হজম ক্ষমতাও। এছাড়াও ঝিঙের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং ক্যালোরি খুবই কম। তাই নিয়মিত এই সবজি খেলে যে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ঝিঙেতে প্রচুর পরিমাণে ‘বিটা ক্যারোটিন’ বা ভিটামিন-এ থাকে, যা চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে। বিশেষত, বেশি বয়সি মানুষদের ক্ষেত্রে ঝিঙে অত্যন্ত উপযোগী। ঝিঙে একদিকে অপটিক স্নায়ু ভাল রাখতে ও অন্য দিকে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ থেকে চোখের রক্তনালীগুলিকে রক্ষা করে।
