আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যথা বেদনার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। শুধু বয়স্ক মানুষরাই নন, একটানা বসে বসে কাজ করার কারণে তরুণ প্রজন্মের অনেকেও পিঠের ব্যথায় ভোগেন। কিন্তু ব্যথা কমানোর জন্য গাদা গাদা পেইনকিলার খাওয়ারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রচুর। বরং তার বদলে খেয়ে দেখতে পারেন প্রাকৃতিক পেইন কিলার - সোনালী দুধ। 

ভাবছেন দুধ আবার কী করে সোনালী হয়? হয়। এই পানীয়টি তার প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, যা ব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে। দেখে নিন কীভাবে তৈরি করবেন এই পানীয়। 

উপকরণ
 * দুধ – ১ কাপ
 * হলুদগুঁড়ো – ১ চা চামচ
 * আদা গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
 * গোলমরিচ গুঁড়ো – ১/৪ চা চামচ
 * দারুচিনি গুঁড়ো – ১/৪ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
 * এলাচ গুঁড়ো – ১ চিমটি (ঐচ্ছিক)
 * ঘি বা নারকেল তেল – ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক, এটি হলুদের কার্যকারিতা বাড়ায়)
 * মধু বা গুড় – স্বাদমতো (ঐচ্ছিক, গরম দুধে মধু মেশাবেন না, একটু ঠান্ডা হলে মেশান)

প্রণালী
১.  একটি সসপ্যানে দুধ নিন এবং মাঝারি আঁচে গরম করতে শুরু করুন।
২.  দুধ কিছুটা গরম হয়ে এলে হলুদ গুঁড়ো, আদা গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, দারুচিনি গুঁড়ো এবং এলাচ গুঁড়ো (যদি ব্যবহার করেন) যোগ করুন। যদি কাঁচা হলুদ বা আদা ব্যবহার করেন, তাহলে সেগুলোও এই সময়ে দিয়ে দিন।
৩.  ভাল করে মিশিয়ে নিন যাতে কোনও দলা না থাকে।
৪.  এবার ঘি বা নারকেল তেল (যদি ব্যবহার করেন) যোগ করুন এবং আবার মেশান।
৫.  মিশ্রণটি ৫-৭ মিনিট অথবা যতক্ষণ না মশলার গন্ধ ভালভাবে দুধের সঙ্গে মিশে যায়, ততক্ষণ অল্প আঁচে ফুটিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন দুধ উপচে না পড়ে।
৬.  আঁচ থেকে নামিয়ে একটি কাপে ছেঁকে নিন (যদি কাঁচা মশলা ব্যবহার করেন)।
৭.  যদি মিষ্টি যোগ করতে চান, তাহলে দুধ কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পর স্বাদমতো মধু বা গুড় মেশান। গরম দুধে মধু মেশালে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ব্যথানাশক গুণাবলী
 * হলুদ: হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন একটি শক্তিশালী প্রদাহনাশক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ব্যথার অন্যতম কারণ।
 * আদা: আদাও তার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং এটি পেশী ও গাঁটের ব্যথা কমাতে সহায়ক।
 * গোলমরিচ: গোলমরিচে থাকা পিপারিন কারকিউমিনের শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে হলুদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
 * দারুচিনি ও এলাচ: এই মশলাগুলোও প্রদাহ কমাতে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।