আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাঝেমধ্যে দাঁতের কামড় লেগেই থাকে। আসলে মুখের ভিতরে হাই ফ্লাক্স এরিয়া রয়েছে, এখানে কোষগুলি দ্রুত মারা যায় ও নতুন কোষ জন্মায়। তাই মুখের ভিতরে অস্বস্তি এবং ক্ষত মোটামুটি স্বাভাবিক ব্যাপার হিসাবেই দেখা হয়। কিন্তু কখনও কখনও এই ধরনের ক্ষত বেশ ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তখন কিন্তু বিষয়টা তিল থেকে তাল হওয়ার মতো। ছোট ঘা ক্যান্সার পর্যন্ত যেতে পারে। মুখের ক্ষতের কারণ অনেক।
দাঁত, জিভ বা গাল কামড়ে ফেললে যে ধরনের ক্ষত বা আলসার হয়। তাকে ট্রমা ইন্ডিউসড আলসার বলে। সুতরাং এই ক্ষতকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
মুখের ভিতরে লাল ফোস্কা ফেটে যাওয়ার মতো একটা ক্ষত দেখা যায়, ব্যথা হয় যা ৭-১০ দিন থাকে। মাত্র ১০% অ্যাপথাস হয় ভিটামিনের অভাবে, তাই মুখের সব আলসারে ভিটামিন খাওয়া ভালো। আয়রনের ঘাটতি থেকেও কিছু আলসার হতে পারে। রক্তাল্পতার জন্য মুখে আলসার চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখলে ক্যান্সার হতে পারে। যে কোনও বয়সেই এই ক্ষত হতে পারে। ইউরেমিক আলসার, কিডনির অসুখ থাকলে তাদের দেখা দেয়।
অনেকেরই কিছু ওষুধ খাওয়ার পরই মুখে ঘা দেখা দেয়। এটা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে হয়। এতে মুখ থেকে ঠোঁট পর্যন্ত আলসার ছড়ায়। তখন স্টেরয়েড দিয়ে রোগীকে চিকিৎসা করতে হয়।
ক্যান্সারও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথমে মুখের আলসার হিসেবেই দেখা দেয়। কখনও আবার আলসার না হয়ে, লিউকোপলেকিয়া রূপে দেখা দেয়। যা মুখ গহ্বরে, জিভে, গালে, ঠোঁটের ভিতরে, টাগরায়, গলায় চোখে পড়ে। সবসময় এই লক্ষণ নাও থাকতে পারে। তবে দাগ দেখা গেলে তা ফেলে না রেখে সতর্ক থাকুন।
যে কোনও ধরণের আলসারই প্রথম থেকে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।ভিটামিন খেলেই মুখের আলসার ঠিক হয়ে যাবে তা কিন্তু সবসময় নয়। কিছু সীমিত চিকিৎসা করতে হবে, আর পাশাপাশি কতদিন বাদে বাদে হচ্ছে যন্ত্রণা, কতটা জায়গায় তার ব্যাপ্তি এবং কতদিন থাকছে সেগুলি খেয়াল রাখতে হবে। রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক হলে আলসার অনেকটাই সেরে যায়।
