আজকাল ওয়েবডেস্ক: সামাজিক নির্মাণ অনেক সময় ব্যক্তিমানুষের মনস্তত্ত্বের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। তাই তাঁর কি করা উচিত, আচরণ কেমন হওয়া উচিত তাও নির্ভর করে সেই সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার উপর। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন বহু পুরুষ! পুরুষরা প্রায়ই লুকিয়ে রাখেন মানসিক চাপনেনিং অবসাদ।


১. আচমকা রেগে ওঠা
অনেক সময় দুঃখ প্রকাশ না করতে পারলে তা মনের গভীরে জমা হয়। আর তার প্রকাশ ঘটে রাগের মধ্য দিয়ে। একে চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় বলা হয় ‘এক্সটারনালাইজিং সিম্পটম’। গবেষণায় দেখা গেছে, তারুণ্য বা উদ্দীপনার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ আচরণ, আসলে মনস্তাত্ত্বিক চাপের বহিঃপ্রকাশ।

২. দ্রুত বা অতিরিক্ত মদ্যপান ও মাদক সেবন
অভ্যন্তরীণ চাপ এড়াতে অনেক পুরুষ মাদক বা মদের আশ্রয় নেন। বিজ্ঞানপত্রিকা ওয়েবএমডির একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পুরুষরা তাদের অবসাদ আরও লুকিয়ে রাখতেই এমন করেন।

৩. অতিরিক্ত ক্লান্তি
শারীরিক ক্লান্তি, অকারণে অতিরিক্ত ঘুম, ডিপ্রেশনের সাধারণ উপসর্গ। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ খুব বেশি দেখা যায়।

৪. সামাজিক একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্নতা
পুরুষরা প্রায়ই আত্মসম্মান ও লজ্জার ভয়ে নিজেদের কথা বলতে পারেন না। ফলে তাঁরা পরিবার, বন্ধু কিংবা সহকর্মীদের থেকে দূরে সরে যান। বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘উইথড্রয়াল’ বলা হয়।

৫. ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ
অত্যধিক দ্রুত বা ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে গাড়ি চালানো, অবৈধ সম্পর্ক, কিংবা অন্যান্য বিপজ্জনক অবসাদের উপসর্গ হতে পারে। ডিপ্রেশনের সঙ্গে পুরুষদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের প্রবণতার যোগ রয়েছে।