আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সারা দিনের পরিশ্রমের পরে ভাল ঘুম কে না চায়! কিন্তু ইদানীং ‘সাউন্ড স্লিপ’ রীতিমতো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে! যে কোনও বয়সেই ইনসমনিয়া বা অনিদ্রায় ভুগছেন অনেকে। সঙ্গে রয়েছে নানান ব্যথার যন্ত্রণা। রাতের বেলা অনেকের গ্যাস অম্বলের সমস্যাও বাড়ে। অনেকে আবার ঘন ঘন ভোগেন সর্দি-কাশিতে। আর এই সমস্ত সমস্যা থেকে শুধুমাত্র একটি পানীয় পান করলেই সুরাহা পেতে পারেন। নিশ্চয়ই ভাবছেন সেই ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্কস’ কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

দুধ যে বহুবিধ পুষ্টিগুণে ভরপুর তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। সুষম খাবার দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলেই তা হয়ে যায় ‘ম্যাজিক ড্রিঙ্কস’। তাই তো হলুদ দুধকে বলা হয় সোনার দুধ। রাতে শোওয়ার আগে এই হলুদ দুধ খেলেই মিলবে একাধিক উপকারিতা।

যদি ভালো ঘুম পেতে চান, তাহলে প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস হলুদ-দুধ খান। সাউন্ড স্লিপের পর পরদিন শরীর থাকবে ঝরঝরে। কাজের জন্য পাবেন অফুরন্ত এনার্জি। হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে তা মোটামুটি সকলেরই জানা। আর দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে তা আরও স্বাস্থ্যকর পানীয় হয়ে ওঠে। নিয়মিত হলুদ-দুধ খেলে কাশি, সর্দি এবং ফ্লু এড়াতে পারবেন। তবে বেশি রাতে ডিনার করার অভ্যেস থাকলে এই পানীয় কিন্তু নৈব নৈব চ। কারণ এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। হলুদে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। তাই জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা থাকলে হলুদ দুধ একটি প্রতিষেধক। হাত-পা ফোলা এবং ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় এই পানীয়। হলুদ ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করে।

হলুদ দুধের জন্য প্রথমে দুধ ফুটিয়ে নিন। তাতে এক চিমটি হলুদ দিন। ঘুমানোর ঠিক আগে এই পানীয়ই হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা থাকলে হলুদ দুধে এক চিমটি জায়ফল মিশিয়েও পান করতে পারেন।যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তারাও হলুদ দুধে কিছু কাজু যোগ করতে পারেন। হলুদ দুধের সঙ্গে এক চিমটি কালো গোলমরিচ মেশালে গলা ব্যথা এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।