পুজো আসতে আর এক মাসও বাকি নেই। শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের আমেজ। দুর্গাপুজো মানেই জমিয়ে সাজগোজ, প্যান্ডেল হপিং, জমাটি আড্ডার মেজাজ। ঘরে হোক কিংবা বাইরে, পুজোর সময়ে সকলের মাঝে মধ্যমণি হয়ে উঠতে কে না চান! তাই তো সারা বছর যতই সময়ের অভাব থাকুক, পুজোর আগে চাই স্পেশাল কেয়ার। কারওর চিন্তা অল্প দিনে ঝরাতে হবে মেদ, কেউ আবার চটজলদি ফিরে পেতে চান ত্বক-চুলের জেল্লা। যার জন্য খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই, সামান্য কয়েকটি নিয়ম মানলেই এবারের পুজোয় তাক লাগাতে পারবেন আপনিও।
ঘন কালো চুল সকলেরই স্বপ্ন। বর্তমানে দূষণ, ধুলোবালি, ঘাম সহ আধুনিক ব্যস্ততার জীবনযাপনে চুল নিয়ে সমস্যার শেষ নেই আট থেকে আশির। সারা বছর কোনও মতে বেঁধে বাইরে বেরিয়ে গেলেও পুজোর সময় পোশাকের সঙ্গে মানানসই হেয়ারস্টাইল না করলেই নয়! তবে শুধু হেয়ারকাট কিংবা নামীদামি ট্রিটমেন্ট অথবা হেয়ারকালার করলেই তো আর স্টাইলিংই হয় না! ঘন, উজ্জ্বল চুল পেতে চাই সঠিক যত্নও। তাই মেনে চলুন কয়েকটি সহজ নিয়ম।
১. নারকেল তেলের সঙ্গে মেথি, কালো জিরে, কারি পাতা, গোটা ধনে, ছাচি পেয়াঁজ ও আমলকি ফুটিয়ে ঘরোয়া তেল বানিয়ে লাগালে উপকার পাবেন। সপ্তাহে ২ দিন এই তেল ব্যবহারে করলেই কমবে খুশকি, চুল পড়া, বাড়বে চুলের জেল্লা।
২. চুল পড়ার সমস্যা বেশি থাকলে শুধু পেঁয়াজের রসও লাগাতে পারেন। পেঁয়াজ থেঁতো করে, রস বার করে তা চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। প্রায় ৪০ মিনিট রেখে ভাল করে মাথা ধুয়ে ফেললেই চুল ঝরা অনেকটাই আটকাবে।

৩. এক দিন অন্তর শ্যাম্পু করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে শ্যাম্পু করার আগের দিন মাথায় ভাল করে তেল মাসাজ করে নিন। চুলের জন্য সঠিক শ্যাম্পু বাছাই করা জরুরি। সোডিয়াম সালফেটের মতো রাসায়নিক রয়েছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪. শ্যাম্পু করার পরে ভালভাবে চুল ধুয়ে তবেই কন্ডিশনার লাগান। চুলে গরম ভাপ অর্থাৎ স্টিম দিতে পারলে ভাল। চুলকে গরম থেকে বাঁচাতে হিট প্রোটেকটেড কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে পারেন।
৫. ভিজে চুল আঁচড়াবেন না। চুলের ডগায় চিড় ধরে। ফলে চুল দুর্বল হয়ে যায়।
৬. পুজোর আগে নতুন হেয়ারকাট না চাইলে চেরা ডগাগুলো ট্রিম করে নিন।
৭. শুধু বাহ্যিক পরিচর্যা নয়, ভাল চুলের জন্য ভিতর থেকে পুষ্টি জোগানো প্রয়োজন। রোজ ভিটামিন, বায়োটিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
