আজকাল ওয়েব ডেস্ক : আর কয়েকদিন পরেই রঙের উৎসব। মেতে উঠবেন সকলেই। এই সময়টা পোষ্যদের জন্য খুব ঝুঁকির। বিষাক্ত রঙ থেকে পোষ্যদের শ্বাসযন্ত্র এবং ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। কোন কোন সাবধানতা মেনে চলবেন? হোলির রঙের ব্যবহার কুকুরের জন্য মারাত্মক। এর প্রভাবে ওদের বমি, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, হাঁচি, কাশি, অত্যধিক তৃষ্ণা, ক্রমাগত কামড়ানো, চুলকানি , অ্যালার্জি হতে পারে। ওদের লোম ঝরে যেতে পারে। রং চোখে লেগে হতে পারে সমস্যা।
প্রথমত, ওদের গায়ে রং দেবেন না। যদিও রং লেগে যায় সেটা পরিষ্কার করতে কেরোসিন, স্পিরিট বা তেল ব্যবহার করবেন না কখনওই। পরিবর্তে, একটি পেট ফ্রেন্ডলি মাইল্ড শ্যাম্পু বেছে নিন।
অনেকে মনে করেন, হোলির সময় পোষ্যদের ওপর শুকনো রং ব্যবহার করা নিরাপদ। কিন্তু অনেকেই জানেন না এই সব বাজারচলতি রঙে প্রায়ই সীসার মতো ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে। যা পোষ্যদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। গুঁড়ো রং থেকে ওদের নাকে জ্বালা, চোখ দিয়ে জল পড়ার সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় পোষ্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে যখন তাদের রঙিন গুঁড়ো রং মাখানো হয়। এই রং কোনও ভাবে তাদের পেটে গেলে বমি বা ডায়রিয়া হতে পারে।
কী করবেন?
শিশুরা না বুঝে পোষ্যদের গায়ে রং লাগিয়ে দিতে পারে। রঙে ভরা বেলুন ছুড়তে পারে। তাই দোলের দিন দুরন্ত বাচ্চাদের থেকে পোষ্যদের দূরে রাখুন।
উত্সব মানে তো খাওয়া দাওয়া থাকবেই। সেখানেও মিশে যেতে পারে রং। তাই ওই দিন আদরের পোষ্যকে নিজেদের খাবারের প্লেট থেকে কিছু খেতে দেবেন না।
হোলির সময় পোষ্যদের বাড়ির ভিতরে নিরাপদে বেঁধে রাখুন। যাতে চারপাশে পরে থাকা রং ওরা ভুলবশত খেয়ে না ফেলে।