আজকাল ওয়েবডেস্ক: আধুনিক জীবনযাত্রায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে হার্টের উপরে। বয়স ৩০ বছর পেরতে না পেরতেই বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও। নেপথ্যে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস,শরীরচর্চার অভাব, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা সহ বিভিন্ন কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো ক্রনিক রোগের হাত ধরে অল্প বয়সেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদরোগ। তাই হৃদয়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। বিপদ ঠেকাতে রোজকার জীবনে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনবেন, জেনে নিন-
১. একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওর, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বেড়ে যায়। মরশুম বদলে সময়ে বেড়েছে বায়ুদূষণ, শ্বাসকষ্টের সমস্যা। তাই হৃদযন্ত্রের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে আগে থেকে হার্টের সমস্যা থাকলে বেশি সচেতন হতে হবে।
২. যতই কর্মব্যস্ততা থাকুক, শরীরচর্চায় অবহেলা করলে চলবে না। ফিট থাকতে নিয়মিত এক্সারসাইজ করা জরুরি। এতে হার্টও ভাল থাকবে। শরীরচর্চা মানেই জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হবে, তা নয়। হাঁটাহাঁটি, যোগাসন, সাঁতার কাটতে পারেন। তবে হার্টের কোনও সমস্যা থাকলে কোন ধরনের শরীরচর্চা করবেন, সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিন।
৩. নিয়মিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান। রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়লে হৃদরোগের সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই এই দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। এছাড়াও ছ’মাস অন্তর অন্তর হার্টের চেকআপ করান।
৪. হার্টকে সুস্থ রাখতে ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে৷ মরশুমি সবজি যেমন পালং শাক, গাজর, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি এবং বেরি,আপেল,কমলালেবুর মতো ফল, গোটা শস্য খান। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫. ধূমপান হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলতে হবে। ধূমপান ও তামাকজাত কোন দ্রব্য হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অন্যতম বড় কারণ।
৬. ঘুম ঠিক মতো না হলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল হয় না। কাজেই শরীর স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যার ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে। তাই হৃদরোগ এড়াতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। সঙ্গে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।
৭. হার্ট অ্যাটাকের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। যেমন- বুকে ব্যথা, বুকে বাঁ দিকে চাপ অনুভূত হওয়া, চোয়ালে ব্যথা, বমি-বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেবেন।
