আজকাল ওয়েবডেস্কঃ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আজকাল অল্প বয়সেই রোগ হানা দিচ্ছে ভুলে যাওয়ার রোগ। অফিসে কোন দিন কোন মিটিং, বাড়িতে ফেরার সময়ে জরুরি কোন কোন জিনিস নিয়ে যেতে হবে কিংবা প্রিয়জনকে দেওয়া কথা— কিছুই যেন মনে রাখতে পারেন না তরুণ তুর্কিরা। এদিকে মনের ভুলের কারণে ক্ষতি হচ্ছে কাজের, বাড়ছে ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যাও। আর মস্তিষ্ককে সচল রাখতে কামাল করতে পারে একটি তেল। বর্তমান যুগে বেশিরভাগ মানুষই তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন বটে! তবে তেলই যদি আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়? হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। সম্প্রতি গবেষণায় এমনই তথ্য মিলেছে। 

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অলিভ অয়েল দারুণ কার্যকরী। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত অলিভ অয়েলে রান্না করা খাবার খান, তাঁদের ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি প্রায় ২৮% কম থাকে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক বৈঠকে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় ৯০ হাজার মানুষের ডায়েট ও স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন ৭ গ্রাম বা তার বেশি অলিভ অয়েল খান, এমন অংশগ্রহণকারীদের ডিমেনশিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি কম প্রমাণিত হয়েছে।

অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা স্নায়ু কোষের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং ব্রেন প্লাস্টিসিটি উন্নত করে। এটি অন্যান্য ফ্যাট যেমন মার্জারিন বা প্রক্রিয়াজাত ফ্যাটের তুলনায় এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

গবেষকদের মতে, অলিভ অয়েল শুধু হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী নয়, এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা প্রক্রিয়াজাত তেলের বদলে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। শুধু রান্নায় নয়, স্যালাডে, রান্নায় বা ডিপ হিসেবে এই তেল স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন অন্তত এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।