হালকা পেট ব্যথা, খিঁচ ধরা, সঙ্গে হালকা জ্বর কিংবা এক টানা চিনচিনে একটা ব্যথা... এই ধরনের উপসর্গগুলোকে একেবারেই আমল দেন না? নিজে থেকে কমে যায় বলে উপেক্ষা করেন? অজান্তেই ভুল করছেন না তো? বাড়াবাড়ি না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকের কাছে না যাওয়া, ছোটখাটো উপসর্গ এড়িয়ে যাওয়া একটা সাধারণ অভ্যাস। কিন্তু কখনও কখনও এটাই কিন্তু বেজায় ক্ষতিকর হতে পারে! বারবার ঘুরে ফিরে আসা লক্ষণ, ব্যথার মাধ্যমেই কিন্তু শরীর সিগন্যাল দেয় যে গুরুতর কিছু হয়েছে। প্রাথমিক লক্ষণগুলো এড়াবেন না। বিশেষ করে পেট ব্যথা সংক্রান্ত এই লক্ষণগুলো।
সার্জিক্যাল লক্ষণ কোনগুলো, সেগুলো কেন এড়ানো উচিত নয়, কখনই বা বুঝবেন এবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত, জেনে নিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর যে লক্ষণগুলো দেখাচ্ছে সেগুলো বোঝা প্রয়োজন। কোনও উপসর্গ দেখলে ব্যথা কমানোর ওষুধ বা ঘরোয়া টোটকায় সেটাকে থামানোর চেষ্টা করবেন না। প্রাথমিক এই উপসর্গ থেকে যদি সঠিক চিকিৎসা শুরু করেন তাহলে প্রাণ তো বাঁচবেই, একই সঙ্গে হয়তো সার্জারির ঝুঁকি এড়ানো যাবে, বা অল্পের মধ্যে দিয়ে যাবে। দ্রুত সেরে উঠবেন। আর সেটার জন্য পেট এবং তলপেটের এই লক্ষণগুলো একেবারেই হেলাফেলা করা যাবে না।
কী লক্ষণ দেখলে বুঝবেন সার্জারি করতে হতে পারে, এমন জটিলতা হয়েছে? চিকিৎসকদের মতে, পেট বা তলপেটে হালকা ব্যথা, খিঁচ ধরা, কিংবা ঘনঘন জ্বর হওয়া। নিজে থেকেই যেহেতু এগুলো সেরে যায় মূলত, তাই এসব নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামান না। বা এটুকুর জন্য ডাক্তার, হাসপাতাল করতে চান না। কিন্তু আদতে এগুলোই পূর্বাভাস হয় বড় জটিলতার। কখনও কখনও সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, এই সামান্য লক্ষণ বা উপসর্গ অল্প দিনেই বিরাট আকার ধারণ করতে পারে।
আর এই উল্লিখিত উপসর্গ কিন্তু অনেক সময়ই অ্যাপেনডিসাইটিসের হতে পারে। বা গলব্লাডারের সংক্রমণ হওয়ার। এমনকী হার্নিয়া, আলসার, অন্ত্রের কোনও সমস্যাও হতে পারে। যদিও প্রতিটি সমস্যাই একে অন্যের থেকে অনেকটা আলাদা, কিন্তু এদের প্রতিটির ক্ষেত্রে মিল একটাই। কী? প্রাথমিক লক্ষণগুলো এতটাই হালকা বা সাধারণ পেট ব্যথা মতো হয় যে অনেকেই পাত্তা দেন না। ঘরোয়া টোটকা দিয়ে সেটার উপশম করার কথা ভাবেন।
কোন ৪ লক্ষণ ভুলেও হেলাফেলা করবেন না?
১. একটানা বা ঘুরে ফিরে আসতে থাকে পেট ব্যথা: অ্যাপেনডিসাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণ কিন্তু একদম হালকা একটা ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে নাভির পাশে। এই ব্যথাটা তলপেটের ডানদিকে হয় মূলত।
২. বারবার বমি, গা গুলানো, পেট পরিষ্কার না হওয়া: এটা কিন্তু অন্ত্রের সমস্যার লক্ষণ। বহুদিনের হজমের সমস্যা থেকে হার্নিয়া, ইত্যাদির কারণে এটি হতে পারে কিন্তু। আবার গ্যাস, অম্বলের কারণেও হতে পারে। কারণ যাই হোক, এড়িয়ে যাবেন না।
৩. তলপেট ব্যথা এবং জ্বর: কোলেসিসটাইটিস, বা গলব্লাডার হলে এই লক্ষণ হতে পারে। অনেকেই এটিকে নিছক গ্যাস, অম্বলের লক্ষণ বলে এড়িয়ে যান।
৪. হঠাৎ ভীষণ ব্যথা হওয়া: এটা কিন্তু হার্নিয়ার লক্ষণ হতে পারে। তাই আচমকা ভীষণ ব্যথা হলে একদম উপেক্ষা করবেন না। এতে বিপদ বাড়বে।
