আধুনিক জীবনের ইঁদুর দৌড়ে অনেক সময়ই দেখা যায় যে ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্তিভাব যায় না। থেকে থেকেই ঘুম পায়। মুঠো মুঠো চুল ওঠা তো বোধহয় প্রতিটি বাড়ির সমস্যা। আপনিও কি একই দলে পড়েন? আর এই প্রতিটি লক্ষণকে নিছক স্ট্রেস বা দূষণের কারণে হচ্ছে বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন? অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো? এই লক্ষণের মাধ্যমে কিন্তু আপনার শরীর আপনাকে অন্য কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছে এমনটাও হতে পারে।  

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন উক্ত সমস্যাগুলো ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও হতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন ডির ঘাটতি যদি শরীরে দেখা দেয় তাহলে চুল পড়া থেকে ক্লান্তিভাব আসা হতেই পারে। ভিটামিন ডি এমন একটা সাপ্লিমেন্ট যা শরীরের নানা কাজে সাহায্য করে থাকে। 

সম্প্রতি এই বিষয়ে এক জনপ্রিয় চিকিৎসক অংশুমান কৌশল ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন পর্যাপ্ত সূর্যের আলো গায়ে লাগার পরও ভিটামিন ডি ঘাটতি দেখা দিতে পারে অনেকের শরীরেই। এর প্রধান কারণ, ঘরে আলো বাতাস ঢুকলেও, সূর্যের রশ্মি এসে পড়লেও তাতে ভিটামিন ডি ঢোকে না শরীরে। অথচ এই ভিটামিন ডি কিন্তু মুড নিয়ন্ত্রণ করে, হজমে সাহায্য করে। মাসল তৈরিতেও সাহায্য করে। ফলে এই ভিটামিন ডির ঘাটতি দেখা দিলে, শরীর নিজে থেকেই এনার্জি সেভিং মোডে চলে যায়। সেই কারণেই ক্লান্তি আসে। 

একটা সময় মা, দিদিমারা বলতেন, সূর্যের আলো গা লাগলেই নাকি ভিটামিন ডির অভাব হয় না শরীরে। এখন তাহলে সমস্যা কী? চিকিৎসক অংশুমান কৌশলের মতে আজকালকার বাড়িতে যে কাচের জানালা থাকে, সেটা এই ইউভিবি রশ্মিকে আটকায়। তার উপর আজকাল সকলেই রোদে বাইরে বেরোলে যাতে ট্যান না পরে তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। ফলে যতই রোদে রোদে ঘুরুন, ঘরে আলো বাতাস ঢুকুক অনেকের শরীরেই বর্তমানে ভিটামিন ডির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। 

কী করে ভিটামিন ডির এই ঘাটতি পূরণ হতে পারে? খাবারে নজর দিতে হবে। ডিমের কুসুম, মাশরুম, টুনা, ইত্যাদি খেতে হবে বেশি পরিমাণে। একই সঙ্গে প্রয়োজন সাপ্লিমেন্টের। কিন্তু কখন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত? চিকিৎসক অংশুমান জানিয়েছেন যখন রক্তে ভিটামিন ডির পরিমাণ ২০ ন্যানোগ্রাম/মিলিলিটারের কম হবে। কিন্তু সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কী খাবেন, কখন খাবেন এই বিষয়ে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।