আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকের দিনে বাড়তি ওজন বড় সমস্যা। তাই তো ডায়েট, শরীরচর্চা করে ওজন কমাতে কসরতের খামতি নেই। তবে তাড়াহুড়ো নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে, রয়েসয়ে ওজন ঝরানো উচিত। কিন্তু ব্যস্ততার যুগে সবেতেই যে সময়ের অভাব! ওজন কমানোর জন্যেও বেশি সময় দিতে চান না অনেকেই। ফলে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডায়েট করে থাকেন। কেউ উপোস করতে শুরু করেন, আবার কেউ কেউ দীর্ঘ সময় পর খাবার খান, কারওর এক ঝটকায় রোজের পাত থেকে বাদ যায় একাধিক খাবার। এদিকে ওজন ঝরানোর চক্করে অজান্তেই শরীরে ঘনিয়ে আসতে বিপদ।
১. শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের জোগান থাকা অবশ্যই জরুরি। ওজন কমাতে প্রতিটি মিলে প্রোটিন বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয় । এতে ঘন ঘন খিদে পাবে না। তবে খাওয়া-দাওয়া একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া যেমন ভুল, তেমনই অতিরিক্ত প্রোটিনের খাওয়াও উচিত নয়। বরং খাবারে ক্যালোরির হিসেবের চেয়ে শরীরচর্চায় কত ক্যালোরি ঝরছে, সেদিকে নজর দিতে হবে।
২. ওজন কমাতে হলে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিতে হবে, এমন ধারণা রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু খাদ্যতালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দেওয়া উচিত নয়। কারণ কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি দেয়। তাই নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট খান, ওজন কমাতে সমস্যা হবে না। অন্যদিকে, ওজন কমাতে শুধু লো ফ্যাট ডায়েটে নির্ভর করবেন না। অনেক ক্ষেত্রে লো ফ্যাট খাবারের স্বাদ বাড়াতে চিনির ব্যবহার বেশি হয়।
৩. শরীরচর্চা মানেই নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে জিমে পড়ে থাকা নয়। আবার ব্যায়াম না করে শুধু খাওয়া-দাওয়া কমানোও উচিত নয়। এতে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। একদিনে অনেক ক্যালরি ঝরিয়ে ফেলবেন, এই ধারণা নিয়ে জিমে যাবেন না। ওজন কমানোয় শরীরচর্চা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু কতক্ষণ শরীরচর্চা করবেন, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
