আজকাল ওয়েবডেস্ক: আধুনিক জীবনযাপনে ডায়াবেটিস থেকে কোলেস্টেরলের মতো ক্রনিক রোগে ভোগেন কমবয়সিরাও। যার জন্য শুধু ওষুধ নয়, ভরসা রাখেন ঘরোয়া টোটকায়। ঠিক যেমন ভারতীয় হেঁসেলে রয়েছে নানা স্বাদের মশলা। যা শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, স্বাস্থ্যগুণেও ভরপুর। এরই মধ্যে অন্যতম দারচিনি। রোজের ডায়েটে এই মশলা সুগার, ওজন কমানো, বাতের মতো একাধিক রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যুগ যুগ ধরে প্রাচীন আয়ুর্বেদে ব্যবহার হয়ে আসছে দারুচিনি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দারুচিনির মধ্যে উচ্চ পরিমাণে সিনামালডিহাইড রয়েছে। যার কারণে দারুচিনি খেলে মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করে। প্রত্যেক দিন আধ চা চামচ করে দারচিনি খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিস উপকার পাবেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ট্রাইগ্লিসারাইড বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে দারচিনিতে। শরীরের কোষে থাকা ইনসুলিন আরও সংবেদনশীল করে তোলে দারুচিনি। ফলে রক্তে থাকা শর্করা আরও ভালভাবে ব্যবহৃত হয়।
দারুচিনির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য, যা জয়েন্টে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রোজ সকালে দারুচিনি দিয়ে চা খেলে গাঁটের ব্যথা থেকে অনেকটাই আরাম পাবেন। শরীরে যে কোনও রকম প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মশলায়। কোনও টিস্যুর ক্ষতি হলে বা শরীরে কোথাও আঘাত পেলে লাভ দারচিনি খেলে উপকার পাবেন।
শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে দারুচিনি। ফলে ওজন কমাতে হলে ডায়েটে রাখুন দারচিনি। শরীর ক্যালোরি দ্রুত পুড়িয়ে ফেলতে পারে এই মশলা। দারুচিনি খাওয়ার পরে কম খিদে পায়। যার ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছাও কমে।
দারচিনির কিছু উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে থাকে। দারচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। এটি রক্তনালীতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
ইঁদুরের উপর এক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অন্ত্রের ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগ ছড়ানো আটকাতে সক্ষম দারচিনি। যদিও ক্যানসার রোগের চিকিৎসা এবং এই রোগের ঝুঁকি কমানোর পিছনে কতটা কার্যকর দারচিনি, তা নিয়ে এখনও বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে।
