আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকাল অল্প বয়স থেকেই শরীরে হানা দিচ্ছে ব্লাড সুগার। নেপথ্যে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার অভাব সহ একাধিক কারণ। রোজ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। সুগারের সমস্যা থাকলে কার্বোহাইড্রেট কম পরিমাণে খেতে বলা হয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস হলে প্রথমেই ডায়েট থেকে বাদ যায় ভাত! এদিকে  বাঙালিদের এক বেলা ভাত না খেলে ঠিক মন ভরে না। তবে কি সত্যি ভাত খেলে বাড়ে ব্লাড সুগার?

আসলে সুগারের রোগীদের ভাত খাওয়ার পর তৎক্ষণাৎ গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শরীরে ইনসুলিন তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। তাই ডায়াবেটিকরা কার্বোহাইড্রেট কতটা খাচ্ছেন তা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। টাইপ ১ ডায়াবিটিস হলে অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন উৎপাদন করে না, তাই ডায়েটের বিষয়ে যত্ন নেওয়া খুব জরুরি।

 অন্যদিকে, টাইপ ২ ডায়াবিটিসযুক্ত ব্যক্তিদের শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না। তাই এই ধরনের রোগীদের একবারে খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পরিবর্তে সারা দিন অল্প করে কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ডায়াবিটিসে ভাত খেলে শরীরে কীভাবে প্রভাব পড়ে, তা জানা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ সাদা ভাতে ৫৩.৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। ডায়াবিটিসের রোগী যখন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পানীয় বা খাবার খান, তখন এটি গ্লুকোজে ভেঙে যায় এবং শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ প্রতিদিন ৬৩০ গ্রাম চাল খান, যা ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বহু গুণে বাড়িয়ে দেয়।

ডায়াবেটিসে সাদা ভাতের বদলে কী খাওয়া যায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবিটিস রোগীরা ভাত যত কম খান, ততই ভাল। খেলেও সাদা ভাত না খাওয়া উচিত। সাদা ধান চকচকে করতে পলিশ করা হয়। যার কারণে এতে ভিটামিন বি জাতীয় অনেক পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। সম্ভব হলে ব্রাউন রাইস বেছে নিন। ব্রাউন রাইসে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ, একাধিক পুষ্টি থাকে। ফলে টাইপ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমায়। আবার অনেক পুষ্টিবিদই মনে করেন প্রোটিন, ফাইবার আর ফ্যাটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভাত খেলে ক্ষতি নেই।