আজকাল ওয়েবডেস্ক: দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বোঝা নতুন নয়। কিন্তু দাঁতের থেকেও মুখের যে অংশটি বেশি অবহেলিত, তা হল মাড়ি। অনেকেই জানেন না যে দাঁতের সমস্যা অনেক সময় মাড়ি থেকেই শুরু হয়। রোজকার কিছু সাধারণ অভ্যাস মাড়ির নানা সমস্যার কারণ হতে পারে।
১. সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ না করা: প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত দু’বার ব্রাশ করা জরুরি। কিন্তু অনেকেই তাড়াহুড়ো করে বা ভুল পদ্ধতিতে ব্রাশ করেন। ফলে দাঁতের ফাঁকে বা মাড়ির কিনারায় খাদ্যকণা ও প্লাক জমে যায়। এই প্লাক থেকেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয় এবং মাড়িতে প্রদাহ বা পেরিওডনটাইটিস-এর মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও, খুব জোরে ব্রাশ করলে মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২. ফ্লস ব্যবহার না করা: ব্রাশ দাঁতের ভেতরের সব অংশ, বিশেষ করে দু’টি দাঁতের মাঝখানের জায়গা পুরোপুরি পরিষ্কার করতে পারে না। প্রতিদিন ফ্লস ব্যবহার না করলে এই ফাঁকগুলোতে খাবার ও জীবাণু জমে মাড়ির সংক্রমণ ও রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
৩. ধূমপান ও তামাক সেবন: ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য (যেমন - গুটখা, জর্দা) সেবন মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তামাক মাড়িতে রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়, যার ফলে মাড়ির কোষগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন পায় না। এটি মাড়ির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়, ফলে সংক্রমণ সহজে ছড়িয়ে পড়ে এবং সহজে সারতে চায় না।
৪. অতিরিক্ত মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়া: চিনি বা শর্করাযুক্ত খাবার ও পানীয় মুখের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি শর্করা থেকে অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করার পাশাপাশি মাড়িতেও প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
৫. মুখ শুকনো থাকা: মুখের লালা প্রাকৃতিক ভাবে মুখকে পরিষ্কার রাখতে এবং অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে। অনেক সময়, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বয়সজনিত কারণ বা কিছু রোগের কারণে মুখে লালা নিঃসরণ কমে যেতে পারে। মুখ শুকনো থাকলে ব্যাকটেরিয়া সহজে বংশবৃদ্ধি করে এবং মাড়ির রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত জল পান না করাও মুখ শুকিয়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ।
