আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেউ পিঠ বাঁচাতে মিথ্যে বলেন, কেউ অন্যায় করার লক্ষ্যে। কেউ কেউ আবার অভ্যাসবশত মিথ্যে বলে ফেলেন। এঁদের বলে ‘কম্পালসিভ লায়ার’। কিন্তু এই মিথ্যে কথার দুনিয়ায় নিজেকে অসত্য থেকে বাঁচাবেন কীভাবে? উপায় আছে। অনেক সময় মিথ্যাবাদীর শরীরী ভাষা দেখেই বলে দেওয়া যায় তিনি যা বলছেন সেটা হয়তো সত্যি নয়।

১.  অস্থিরতা ও নড়াচড়া: মিথ্যা বলার সময় অনেক সময় মানসিক চাপ কাজ করে, যা শরীরী ভাষায় প্রকাশ পায়। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করা, পা ট্যাপ করা, হাত মোচড়ানো, পোশাকের প্রান্ত ধরে টানা বা অন্য কোনও পুনরাবৃত্তিমূলক অস্থির আচরণ মিথ্যা বলার লক্ষণ হতে পারে। তবে, মনে রাখতে হবে এগুলি খুবই সাধারণ লক্ষণ, অনেক সময় স্নায়বিক সমস্যার কারণেও এমন হতে পারে।

২.  চোখের দিকে তাকাতে দ্বিধা: মিথ্যাবাদীরা প্রায়শই চোখের দিকে সরাসরি তাকাতে অস্বস্তি বোধ করেন এবং চোখে চোখ রাখা এড়িয়ে যায়। আবার এর উল্টোটাও ঘটে, কেউ কেউ মিথ্যাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য অস্বাভাবিকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। উভয় ধরনের আচরণই মিথ্যা বলার ইঙ্গিত।

৩.  মুখ স্পর্শ করা বা ঢাকা: মিথ্যা বলার সময় অবচেতনভাবে মুখ স্পর্শ করা, যেমন নাক চুলকানো, মুখ ঢাকা, ঠোঁট কামড়ানো বা গলায় হাত দেওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। মস্তিষ্ক যখন মিথ্যা তৈরি করে, তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোন নির্গত হয়, যা ত্বকে চুলকানি বা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।

৪.  অঙ্গভঙ্গির অসঙ্গতি: সত্যি কথা বলার সময় আমাদের অঙ্গভঙ্গি স্বাভাবিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত হয়। কিন্তু মিথ্যা বলার সময় অঙ্গভঙ্গি সীমিত বা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। আবার, কথার সঙ্গে অঙ্গভঙ্গির অমিলও দেখা যেতে পারে। যেমন, দুঃখের কথা বলার সময় হাসা বা রাগের কথা বলার সময় শান্ত থাকা।

৫.  শারীরিক দূরত্ব বৃদ্ধি: মিথ্যা বলার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে পারেন। এটি অবচেতনে নিজেকে মানসিকভাবে দূরে রাখার লক্ষণ, কারণ মিথ্যাবাদীরা নিজেরা জানেন যে তাঁরা অসত্য বলছেন।

তবে মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র শরীরী ভাষা দেখে নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন যে কেউ মিথ্যা বলছে। এই লক্ষণগুলো কেবল সন্দেহের সৃষ্টি করতে পারে।