আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ব্লাড প্রেসার, সুগার, কোলেস্টরল-এক কথায় এদের বলে লাইফস্টাইল ডিজিজ। এই ব্যইস্ত সময়ে প্রতিদিনের অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই এইসব রোগের মূল কারণ। প্রায় প্রতিটি পরিবারই এইসব সমস্যায় ভুক্তভোগী। যার মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড উল্লেখযোগ্য। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে গাঁটে গাঁটে ব্যথা, বিভিন্ন জয়েন্টের হাড় বেঁকে যাওয়ার সমস্যা শুরু হয়৷ উঠতে-বসতে যন্ত্রণা হতে শুরু করে৷

চিকিৎসকেরা ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলেই খাওয়ার তালিকা থেকে টমেটো, ঢ্যাঁড়শ, মুসুর ডাল বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁদের মতে, বেশ কয়েক বছর আগেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে নানা খাবারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এখন নির্দিষ্ট কিছু খাবার ছাড়া, নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে সবই খাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হয় ওজন যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড হলে কী কী খাওয়া থেকে বারণ, তা প্রায় সকলেই জানেন। কিন্তু কোন কোন খাবার বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে, রইল সেই বিষয়ে বিবরণ।

মূলত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শুধু লেবু বা সাইট্রাস জাতীয় ফল ছাড়াও চেরি, স্ট্রবেরি বা টক জাতীয় যে কোনও ফলেই ভিটামিন সি থাকে। তাই প্রতিদিন সামান্য হলেও টক ফল ডায়েটে রাখুন।

সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল ইউরিক অ্যাসিডের জন্য উপকারী। কিন্তু যে সামুদ্রিক মাছে ক্ষতিকারক ‘পিউরিন’ নামক উপাদান থাকে সেটি খাওয়া চলবে না। পমফ্রেট বা ইলিশের উপর ভরসা রাখুন।

তাছাড়া শুধু ইউরিক অ্যাসিডকে একা বাগে আনতে নয়, শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খাবারে প্রোটিন রাখতেই হবে। প্রাণীজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় তা সকলেরই জানা। এমন পরিস্থিতিতে শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি নানা রকম দানা, ডাল, মাশরুম খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।

আমলকির রসে ভিটামিন সি আছে যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে পারে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক চামচ আমলকির রস মিশিয়ে খান। দারুন উপকার পাবেন।

ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ওজন কমাতে মেথি ভেজানো জল খুবই উপকারী। মেথিতে রয়েছে ভিটামিন কে, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি ৬। এছাড়াও কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ থাকে। ওজন কমানোর পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রেখে গাঁট ও পায়ের আঙ্গুলের ব্যথা কম করতে সাহায্য করে মেথি। এক গ্লাস জলে এক চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে, সকালে ছেঁকে সেই জল পান করুন।

সোডা এবং প্যাকেটজাত ফলের রস সহ চিনিযুক্ত পানীয় শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। সেক্ষেত্রে গ্ৰীন টি,এবং তাজা ফলের রস দিয়ে নিজেকে হাইড্রেট রাখুন। ব্যথা নিয়ে ভোগান্তি না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।