আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই ইন্ডিগোর পরিষেবায় বিরাট বিপর্যয় ঘটেছে। দেশজুড়ে বিভিন্ন বিমানবন্দরে চরম বিশৃঙ্খলা। নাজেহাল যাত্রীরা। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনাহীনতাকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে দমদমে সোমবার মমতা বলেছেন, "এটা বিপর্যয়। এর জন্য কেন্দ্র দায়ী। তাদের আগে থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হতো।"
ভুক্তভোগী যাত্রীদের প্রতি সহমর্মীতা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, " বেশ কয়েকদিন ধরে বিমান পরিষেবা না পাওয়ায় সবার খুব সমস্যা হচ্ছে। আমার মনে হয়, কোনও পরিকল্পনা না করায় এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হল। এটা বিপর্যয়। এর জন্য কেন্দ্র দায়ী। তাদের আগে থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হতো।"
মমতা ব্যানার্জি আরও বক্তব্য, "বিমান বাতিলের পর যাত্রীদের বলা হচ্ছে অন্য পথে যেতে। সেটা কি সম্ভব? বিমানে যেতে ২ ঘণ্টা লাগে, আর ট্রেনে সেই রাস্তাই ২৪ বা ৩৬ ঘণ্টা। তারউপর আবার আগাম টিকিট, রিজার্ভেশনের ব্যবস্থা করতে হয়। সবমিলিয়ে যাত্রীদের জন্য চূড়ান্ত ভোগান্তি। আসলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সবসময় ভোটের কথা ভাবে আর আমরা ভাবি মানুষের কথা। তাই যাত্রীদের এত সমস্যা নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত।"
উল্লেখ্য, সপ্তম দিনেও দেশের বিমান পরিবহনে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা জারি রয়েছে। ইন্ডিগোর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। সোমবারও দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব ও বাতিল হচ্ছে। দিল্লি বিমানবন্দর যাত্রীদের সতর্ক করে জানিয়েছে, সংস্থার পরিষেবা আরও কিছুদিন ব্যাহত থাকতে পারে। রবিবার ইন্ডিগো ৬৫০টিরও বেশি বিমান বাতিল করেছিল। সোমবার বাতিল হয়েছে ৩৫০টি বিমান, যদিও দু'দিন আগের তুলনায় এ সংখ্যা কিছুটা কম। সংস্থাটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের ৬১০ কোটি টাকার বেশি ফেরত দেওয়া হয়েছে।
পাইলটদের বিশ্রাম সংক্রান্ত নতুন সরকারি নিয়ম কার্যকর হওয়ায় পাইলট সংকট তৈরি হয়, যার জেরেই ফ্লাইট বাতিলের মাত্রা বেড়ে যায়। সংকট নিয়ন্ত্রণে না আসায় সরকার শেষ পর্যন্ত নিয়ম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
