আজকাল ওয়েবডেস্ক: লিওনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরে যে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল তা খতিয়ে দেখতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি তৈরি করে দিলেন মমতা। মেসি এবং ভক্তদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজের এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ সল্টলেক স্টেডিয়ামে যে অব্যবস্থাপনা দেখা গিয়েছে, তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও হতবাক। যাঁরা তাঁদের প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসিকে এক ঝলক দেখার জন্য জড়ো হয়েছিলেন, সেই সকল হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমী ও ভক্তদের সঙ্গে অনুষ্ঠানটিতে যোগ দিতে স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিলাম। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি লিওনেল মেসি, সেইসাথে সকল ক্রীড়াপ্রেমী ও তাঁর ভক্তদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
মমতা আরও লিখেছেন, “আমি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছি, যার সদস্য হিসেবে থাকবেন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। এই কমিটি ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করবে, এর জন্য দায়ী কে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করবে। আরও একবার, আমি সকল ক্রীড়াপ্রেমীর কাছে আমার আন্তরিকভাবে দুঃখিত।“
যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থাপনা এবং হাজার হাজার দর্শকদের বঞ্চিত করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, “কেন মেসিকে ঘিরে থাকল হ্যাংলামির ভিড়? কেন স্টেডিয়াম পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগিয়ে রাখা হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? এতে কলকাতার সুনাম বাড়ল? অপদার্থ আয়োজক কেন ন্যূনতম পরিকল্পনার ছাপ রাখল না? শুধু টাকা? শুধু ব্যবসা? এই আয়োজক আর কিছু হ্যাংলার জন্য সবাই বঞ্চিত হল। কলকাতা লজ্জিত হল। দর্শকদের ক্ষোভ ন্যায্য।”
কুণাল ২০১১ সালের তুলনা টেনেছেন তাঁর পোস্টে। ওই বছরও কলকাতায় খেলে গিয়েছিলেন মেসি। কুণাল তাঁর পোস্টের শেষে লিখেছেন, “২০১১ সালে এই যুবভারতীতেই খেলেছিলেন মেসি। আমি আর সহকর্মী প্রসেনজিৎ বক্সি কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে খেলা দেখেছিলাম। বারো ফুটের মধ্যে এসে কর্নার নিলেন মেসি। সবটা হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। কোনো বাড়াবাড়ি সেদিন হয়নি।”
(বর্তমান যুগে খুব দ্রুত মানুষের কাছে খবর পৌঁছে যায়। কিন্তু এই দ্রুততার কারণে অনেক সময় সঠিক খবর পৌঁছনো যায় না। দ্রুত খবর পৌঁছতে গিয়ে অনেক সময় ভুল খবর বিভিন্ন গোষ্ঠী বা মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আমরা চাই না দ্রুততার কারণে আপনার কাছে ভুল খবর পৌঁছক। তাই সময় নিয়ে সঠিক খবর পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তাই নির্ভরযোগ্য খবরের মাধ্যম হিসেবে নজর রাখুন আজকাল ডট ইনে। এই খবরটি দ্রুত আপডেট করা হবে।)
