আজকাল ওয়েবডেস্ক : রবিবার যুবভারতীর সামনে দুই দলের সমর্থকদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দিল পুলিশ। এদিন পুলিশ আগে থেকে জানিয়ে দিয়েছিল এই এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপর দুই প্রধানের সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করে। তবে ভিড় বাড়তে থাকায় পুলিশ দ্রুত সকলকে সরিয়ে দেয়। বেশ কয়েকজন সমর্থককে পুলিশের গাড়ি করে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে গোটা এলাকা কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন মহমেডান সমর্থকরাও।
যতই সময় এগোতে থাকে তত যুবভারতী এলাকায় জমায়েত বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে পুলিশ। দুই দলের সমর্থকরা বলেন যদি এত পুলিশ এখানে ছিল তবে কেন ডার্বি বাতিল করা হল। এরপর পুলিশ সমস্ত সমর্থকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তাদেরকে দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকা জুড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গোটা রাস্তা ছিল সমর্থকদের দখলে। তবে যুবভারতী সামনে কাউকে আসতে দেয়নি পুলিশ।
এদিন যুবভারতী চত্বরে ১৬৩ ধারা জারি ছিল । বিধান নগর পুলিশ কমিশনারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এই নির্দেশিকা। আরজি কর প্রতিবাদে বাতিল হয়েছে ডার্বি । দুদলের সমর্থকদের যুবভারতের সামনে জমায়েত কর্মসূচি ছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকি ফোনের অভিযোগ, অশান্তি আটকাতে ১৬৩ ধারা জারি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের। রবিবার ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি ছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে।
বিধাননগর পুলিশের পক্ষে জানানো হয় , রবিবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি থাকবে। কারণ হিসাবে পুলিশ জানিয়েছে, ফুটবলপ্রেমীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে কিছু দুষ্কৃতী ঢুকে বিশৃঙ্খলা এবং অশান্তির তৈরি করতে পারে বলে গোপনসূত্রে খবর পেয়েছে পুলিশ।
