আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১২ দিনের যুদ্ধ পরিস্থিতি থামার পরে পরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইরান। সে দেশের পরমাণু নিয়ে আমেরিকা-ইজরায়েলের আপত্তির মাঝে দাঁড়িয়ে ইরান পার্লামেন্টে বিল পাশ হয়েছিল। বুধবার জানা গেল, সেই বিল হয়ে গেল আইন।

২৫ জুন  তেহরান জানিয়ে দেয়, সে দেশে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, পরমাণু প্রসঙ্গে আর কোনও তথ্য জানাবে না রাষ্ট্রপুঞ্জকেও। রাষ্ট্রপুঞ্জের পরমাণু নজরদার সংস্থা ইন্টারন্যাশন্যাল অটোমিক এনার্জি এজেন্সি(আইএইএ)-এর সঙ্গে কোনও যোগ রাখবে না ইরান। অর্থাৎ পরমাণু প্রসঙ্গে কী চলছে দেশে, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা আর রাষ্ট্রপুঞ্জকে জানাবে না। ইরান পার্লামেন্টে পাশ হয়ে যায় সেই বিলও। বুধবার ইরানের সংবাদ সংস্থা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আইন পাশের কথা জানায়। রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান


কী বলা হয়েছে আইনে? তথ্য, আইনটিতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা কর্তৃক ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের জন্য তেহরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন। আইএইএ ইরানের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে জানিয়েছে, তারা খামেনেইয়ের দেশের থেকে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে। 

উল্লেখ্য, আমেরিকা এবং ইজরায়েল, এই দুই দেশের কেউই চায় না, ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করুক। এর আগে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝেই ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকা। হামলার পর, রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।  রাষ্ট্রপুঞ্জের  পারমাণবিক পর্যবেক্ষক ইন্টারন্যাশন্যাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল মারায়ানো গ্রোস্সি তার পরের দিনই জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন পরিস্থিতি পর্যালোচনায়।