আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাঁর মা তথা বাংলাদেশের পদচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যপর্ণ দাবি করেছে ঢাকা। এরপরই ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ। তাঁর অভিযোগ, বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে পড়শি রাজ্যের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালাতে 'উইচ হান্ট' শুরু করেছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। 

সোশাল মিডিয়া পোস্টে ওয়াজেদ লিখেছেন, "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে প্রহসনের বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য অনির্বাচিত ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত বিচারক ও কৌঁসুলিরা এটিকে ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করে রাজনৈতিক উইচ-হান্ট হিসাবে পরিণত করেছে এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিপীড়নের জন্য আরেকটি ধারাবাহিক আক্রমণ হিসাবে  চিহ্নিত হয়েছে।"

পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াজেদ লিখেছেন, "জুলাই থেকে অগাস্টের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনা অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হওয়া দরকার, কিন্তু ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং আমরাও এই বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা প্রকাশ করতে পারছি না।"

সোমবার বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন জানিয়েছে যে, হাসিনা-পুত্র ওয়াজেদ ও হাসিনার ভাগ্নি ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে- বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা কর্তৃক নির্মিত ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলারের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে 'ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল'বলে দেগে দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, "শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ এমন এক সময় এসেছে যখন আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হচ্ছে অথবা তাদের বিরুদ্ধে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তোলা হয়েছে।" তাঁর অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাজার হাজার মানুষকে অবৈধভাবে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। অবাধে চলছে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মত হিংসাত্মক হামলা।

ওয়াজেদ অভিযোগ করেছেন, ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, যিনি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে থাকার রেকর্ড প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগ পেয়েছিলেন, ইন্টারপোল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে 'রেড নোটিশ' জারি করেছে বলে দাবি করে তার বিরুদ্ধে 'ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য' ছড়িয়েছেন। ইউনুসের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য প্রশাসন হাসিনাকে প্রত্যর্পণ এবং প্রহসনের বিচারে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। বলেন, "গণমাধ্যমে ডাহা মিথ্যা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় প্রসিকিউটর পরে তাঁর বক্তব্য পরিবর্তন করেন এবং এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে প্রত্যর্পণের জন্য অনুরোধ করেছেন।"