আজকাল ওয়েবডেস্ক: জুলাই আন্দোলন দেখেছে ঢাকা। দেখেছে আন্দোলনের মুখ পড়ে সরকারের পতন। মুজিবের দেশে মুজিবের অপমান দেখছে বিশ্ব। হাসিনাকে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতেও দেখেছে। প্রায় বছরখানেক। অন্তবর্তী সরকার নিয়েও এখন পদ্মাপারে হাজার প্রশ্ন। এর মাঝেই আচমকা উঠে আসছে হাসিনার পলায়ন-প্রসঙ্গ।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হাসিনার ঢাকা টু দিল্লি এবং মাঝের গতিপথ বর্ণনা করেছে। অভিমত, উত্তাল পরিস্থিতিতে, অকারণ ঝামেলা এড়িয়ে যেতেই গতপথ প্রসঙ্গে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। গোপন রাখা হয়েছিল মূল পরিকল্পনা।
আগস্ট মাসের ৫ তারিখ, ২০২৪। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তাল আন্দোলনের মাঝেই দেশ ছাড়েন। সেই সময় ঢাকা ছেড়ে হাসিনা কোথায় যাচ্ছেন, কয়েকঘণ্টায় তুমুল জল্পনা শুরু হয়। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়, ঢাকা থেকে সোজা কলকাতায় আসছেন হাসিনা।
কিন্তু দেখা যায়, কয়েকঘণ্টাতেই বদলে যায় আকাশপথ। কলকাতার বদলে, উত্তরপ্রদেশে অবতরণ করে তাঁর বিমান। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে হাসিনার বিমান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইচ্ছাকৃতভাবেই এই পরিকল্পনা হাসিনার।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হাসিনার বিমানের গতিপথ প্রাথমিকভাবে গন্তব্য কলকাতা ভাবিয়েছিল কেন? কারণ, বিমান বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে ঢাকা থেকে দিল্লিগামী বিমানগুলি কলকাতাগামী বিমানগুলির তুলনায় বাংলাদেশের আকাশসীমায় বেশি সময় ব্যয় করে। ঢাকা-কলকাতা রুটটি পশ্চিমে সরাসরি বিমান চলাচলের পথ, অন্যদিকে দিল্লিগামী বিমানটি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এবং বাংলাদেশ-নিয়ন্ত্রিত আকাশে বেশি সময় ব্যয় করে।কিন্তু যে দ্রুততার সঙ্গে হাসিনার বিমান ঢাকার আকাশসীমা অতিক্রম করেছিল, তাই জল্পনা ছিল গন্তব্য কলকাতা। তাছাড়া, ঢাকা থেকে উড়ানের পর, বিমানটি তার ট্রান্সপন্ডারগুলি বন্ধ করে দেয়। যা বিমানের 'স্কোয়াক কোড', উচ্চতা, গতি এবং অবস্থানের মতো শনাক্তকারী বিশদ দিতে পারে।সব মিলিয়ে মনে করা হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবে গুলিয়ে দেওয়ার জন্যই এই পরিকল্পনা কষেছিলেন হাসিনা।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময় একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় হাত রয়েছে শেখ হাসিনার। এই অভিযোগে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল(ICT)। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার বিচার শুরু হয়।
