আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটি সাপের ফসিল থেকে বদলে গেল প্রচুর ইতিহাস। এই সাপের ফসিলটি প্রায় ৩৪ মিলিয়ন বছর আগের। ফলে একে সামনে রেখে বিবর্তনের নতুন ইতিহাস সকলের সামনে এসেছে। গবেষকরা মনে করছেন যেভাবে এই সাপের ফসিল তারা পেয়েছেন তাতে অতীত দিনের নানা কাহিনী এবার অতি সহজেই সামনে আসবে।


দক্ষিণ আমেরিকা থেকে পাওয়া গিয়েছে সাপের এই ফসিলটি। এটি সেই ধরণের সাপ ছিল যে প্রবল শীতে আরাম করে বেঁচে থাকতে পারত। তবে সেই পরিস্থিতি থেকে বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছে এরা। সাপের জীবনচক্র অনেকটা একটি পারিবারিক গাছের মতো। ফলে সেখান থেকে এদের সহজে বিলুপ্তি ঘটে না। যদি সাপের বিলুপ্তি ঘটে যেত তাহলে পৃথিবীতে বহু প্রাণীরও বিলুপ্তি ঘটে যেত। 


এই সাপের দৈর্ঘ্য খুব একটা বেশি ছিল না। ফলে সেখান থেকে এদের শক্তি বেশি ছিল। তবে পরিবেশের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নেওয়া এদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করছেন সাপের এই ফসিল থেকে তারা নতুন করে সাপের বিবর্তনের ইতিহাসকে ফের সামনে থেকে দেখার সুযোগ পাবেন। 


সাধারণত সাপের রক্ত এমনিতেই শীতল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তবে সাপের এই শীতল রক্ত যখন তার মৃত্যুর কারণ হয় তখন তারা আর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে থাকতে পারে না। সেখানে তারা অতি সহজেই পরিবেশের মধ্যেই বিলীন হয়ে গিয়ে থাকে। তবে এই সাপের ডিএনএ থেকে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তাতে বোঝা যায় সেই সময় সাপেরা বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। তবে সময়ের তালে তারা সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। ফলে ধীরে ধীরে তারা প্রকৃতির শিকার হয়ে যায়।


সাপের যে জিন পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে বোঝা যায় সাপেরা অতি দ্রুত নিজেদের মানিয়ে নিতে পারলেও তারা সেটি পারেনি। ফলে সেখান থেকে অতি সহজেই তাদের মৃত্যু ঘটে।