আজকাল ওয়েবডেস্ক: লন্ডনের 'ইসকন' পরিচালিত একটি নিরামিষ রেস্টুরেন্ট ‘গোবিন্দাস’-এ সম্প্রতি এক বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এটি ঘটেছে যখন এক যুবক রেস্টুরেন্টে ঢুকে সেখানকার কর্মীদের অদ্ভুত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। ভেতরে গিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন সেখানে আমিষ খাবার পাওয়া যাবে কিনা। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের এহেন প্রশ্নে কর্মীরা জানিয়ে দেন, এটি একটি সম্পূর্ণ নিরামিষ রেস্টুরেন্ট। এখানে আমিষ খাবার ছাড়া অন্য খাবার পাওয়া যায় না। এরপর ওই যুবক হঠাৎ করে নিজের সঙ্গে আনা একটি কেএফএল (KFL) নামক ফাস্টফুড ব্র্যান্ডের চিকেন মিল বক্স বের করে প্রকাশ্যে খাওয়া শুরু করেন।
ঘটনাটি ঘটে ইসকন প্রাঙ্গণে অবস্থিত রেস্টুরেন্টে। সেখানে সাধারণত ভক্তদের জন্য প্রসাদ পরিবেশন করা হয়। এমনকি রান্নায় পেঁয়াজ-রসুনও ব্যবহার করা হয় না। রেস্টুরেন্টের নিয়ম এবং ধর্মীয় আবহ পুরোপুরি নিরামিষ ও পবিত্রতা বজায় রাখার কথা মাথায় রেখেই তৈরী৷
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যুবকের কান্ড দেখে রেস্টুরেন্টের কর্মীরা প্রথমে হতবাক হয়ে যান। পরে ওই যুবককে জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু তিনি তা মানতে চান না। উপরন্তু খাওয়া চালিয়ে যান এবং রেস্টুরেন্টের অন্যান্য কর্মীদের ও উপস্থিত সকল অতিথিদের ওই আমিষ খাবার খাওয়ার জন্য বলেন। এই আচরণে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ যুবকের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই একে শুধু ‘প্র্যাঙ্ক’ নয় বরং ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হিসেবে দেখছেন। এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেন, 'আশা করি এই ঘটনার জন্য স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলেও এটা নিশ্চিতভাবে হিন্দুদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর কাজ। যুবকটি জানে হিন্দুরা এর জবাব দেবে না। তাই সাহস করে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছে।'
আরেকজন মন্তব্য করেন, 'ইসকনের রান্নাঘরে এমনকি পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া প্রসাদ তৈরি হয়, সেখানে গিয়ে কেউ যদি প্রকাশ্যে চিকেন খায় এবং তা কর্মীদের অফার করে, তাহলে তা শুধু মজা নয়, বরং একটা সীমা লঙ্ঘন। সে কি নিজের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কখনও এমন কিছু করতে সাহস পেত?'
আরও পড়ুনঃ আত্মহত্যা না খুন? প্রশ্ন উঠছে বারবার, এইমস-এর স্নাতকোত্তর ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য
ঘটনার পর অনেকে এই ধরনের কাজকে ঘৃণামূলক ও উস্কানিমূলক কাজ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। ইসকন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
