আজকাল ওয়েবডেস্ক: আত্মহত্যা না পেছনে ছিল অন্য কারণ? বিহারে ফের মৃত্যু৷ খবর অনুযায়ী পাটনার এইমস-এর এক স্নাতকোত্তর ছাত্রকে তাঁর হোস্টেল রুম থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। নিহত যুবকের নাম রাঘবেন্দ্র সাহু। যুবক ওড়িশার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, তিনি এমডি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। যুবকের আত্মহত্যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেডিক্যাল কলেজ সহ গোটা রাজ্যে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের শরীরে উচ্চ মাত্রার অ্যানেস্থেটিক ডোজ মেলে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে তিনি এই উচ্চ ডোজের ইনজেকশন নিজেকেই দিয়েছিলেন। এর জেরেই ২৫ বছর বয়সী সাহুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এইমসের চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে ঘটনার দিন যুবক তাঁর হোস্টেল রুম খুলছিলেন না। এমনকি তাঁকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না। ক্রমাগত ফোন করে যাওয়ার পরও ফোন তুলছেন না দেখে সকলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে৷ তড়িঘড়ি স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে তারা হোস্টেল ঘিরে একাধিক লোক জড়ো হয়ে রয়েছে। সকলেই অত্যন্ত আতঙ্কিত। পুলিশ গিয়ে যুবকের ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠান হয়৷
'যুবকের ঘর ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও ডাকা হয় ঘটনাস্থলে। তাঁরা দুপুর ১টার দিকে ঘরে প্রবেশ করে। যুবক কে অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন,' বলেন এসডিপিও (ফুলওয়ারিশরিফ-১) সুশীল কুমার।
ঘটনাস্থলে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনার পেছনের কারণ কী তা এখনও তদন্তাধীন। ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য সাহুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এইমসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তিনি স্ত্রী-রোগ ও প্রসূতি বিভাগের একজন স্নাতকোত্তর ছাত্র ছিলেন। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। খবর অনুযায়ী সাহু জানুয়ারিতে কলেজে যোগদান করেন।
সূত্র মারফত, ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (FSL) টিমকে ডাকা হয়। পুলিশ সম্ভাব্য সকল দিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। যার মধ্যে রয়েছে যেকোনও ধরণের মানসিক নির্যাতন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অথবা শারীরিক নির্যাতন। যুবকের এই কান্ডে কারওর মদত আছে কিনা তদন্ত করছে পুলিশ৷
সোমবার গ্রেটার নয়ডার শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিডিএসের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী হেনস্থার অভিযোগে আত্মহত্যা করার কয়েকদিন পর এই ঘটনাটি ঘটল। ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ এর আগে, ওড়িশার বালাসোর জেলায় আরেক কলেজ ছাত্রী শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের শিকারের অভিযোগে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে প্রকাশ্যে আত্মহত্যা করেছিলেন। যা গোটা রাজ্য তোলপাড় করে দিয়েছিল৷
প্রসঙ্গত আগের দিন বিহারে স্বাস্থ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডঃ তপেশ্বর প্রসাদকে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী গুলি করে গুরুতর আহত করে। ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি তাঁর কর্ম ক্ষেত্র থেকে ফিরছিলেন। তখন অ্যাপাচি মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
