আধুনিক যুগে সম্পর্কের ধারণা বদলে যাচ্ছে দ্রুত। একসময় সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকা ছিল ভালোবাসার প্রমাণ, এখন মানসিক সুস্থতা ও ব্যক্তিগত পরিসরকেই অনেকে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূল বলে মনে করেন। এই পরিবর্তনের প্রতিফলনই হলো Gen Z যুগের নতুন ধারণা—‘এয়ারপোর্ট ডিভোর্স’।
2
10
আগে সম্পর্ক মানে ছিল সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকা। এখন সম্পর্কের মানে হলো একে অপরের space বা ব্যক্তিগত জায়গাকে সম্মান করা।
3
10
আজকের তরুণ প্রজন্ম বিশ্বাস করে—দূরত্বও ভালোবাসা বাড়াতে পারে। তাদের মতে, “জিতনে দূর, উতনে পাস”— অর্থাৎ সাময়িক দূরত্ব সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।
4
10
‘এয়ারপোর্ট ডিভোর্স’ শব্দবন্ধের অর্থ আসল বিবাহবিচ্ছেদ নয়। বরং এটি হলো ভ্রমণের সময় সাময়িকভাবে সঙ্গীর থেকে কিছুটা আলাদা থাকা, মন শান্ত রাখার কৌশল।
5
10
ব্রিটিশ লেখক Huw Oliver প্রথম এই শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেন। তিনি ভ্রমণকালীন দাম্পত্য সংঘাত এড়ানোর উপায় হিসেবে এটি প্রস্তাব করেন।
6
10
ভ্রমণের প্রস্তুতিতে—টিকিট, লাগেজ, হোটেল বুকিং—সব মিলিয়ে চাপ বেড়ে যায়। এই চাপেই অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা তৈরি হয়।
7
10
বিমানবন্দরে দীর্ঘ সারি, সিকিউরিটি চেক, বোর্ডিং বিলম্ব—সব মিলে মন খারাপ হয়। এই ক্লান্তি অনেক সময় সঙ্গীর উপরই রাগ হিসেবে প্রকাশ পায়।
8
10
এই কারণেই অনেক যুগল হাসিমুখে সাময়িক আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। চেক-ইন পেরিয়ে তাঁরা নিজেদের মতো সময় কাটাচ্ছেন—এটাই ‘এয়ারপোর্ট ডিভোর্স’।
9
10
কেউ স্কিন কেয়ার করছেন, কেউ খাবার খুঁজছেন, কেউ আবার একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন। এই ছোট বিরতিই তাঁদের মন শান্ত রাখতে সাহায্য করছে।
10
10
কিছু সময় একা থাকার পর আবার দেখা হলে সম্পর্কের উষ্ণতা ফিরে আসে। সব তিক্ততা মুছে গিয়ে তারা নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু করেন।
‘এয়ারপোর্ট ডিভোর্স’ শেখায়—সম্পর্ক মানে শুধু একসঙ্গে থাকা নয়, বরং respectful distance বজায় রাখাও ভালোবাসার অংশ হতে পারে।